এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী (AITC Chairperson) হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় পুনর্নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এরপর নেত্রী তাঁর ভাষণে রাজ্যে তাঁর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামিদিনে গোটা দেশের লড়াইয়ের পাশাপাশি নিজেদের সবচেয়ে শক্তঘাঁটি পশ্চিমবাংলার (West Bengal) বুকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আগাম আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি বলেন, এরাজ্যে আগামী লোকসভায় ৪২টি আসনের সবকটি জয়ের ডাক দেন তিনি। আগামিদিনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলার দুর্গ অটুট রেখেই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “আমাদের শৃঙ্খলা পরায়ণ দল। তাই দলের কেউ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন না। আমাকে কথা দিতে হবে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন না। দল একটাই। প্রতীক একটাই। বাংলায় আরও শক্তি বাড়াতে হবে। এখানে ৭-৮ জন বিজেপি নেতা-বিধায়ক আসতে চায়। তাঁরা আসুক। জোর করে নেব না। আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলায় শিল্প তৈরি করা। চাকরি তৈরি করা। কারোও বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে চাই না। দলে নিয়ে গর্ববোধ করুন। আপনারা একসঙ্গে কাজ করলে আমি বাইরে কাজ করতে পারব। তৃণমূলের একটাই গ্রুপ। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হঠাতে হলে নিজেদের ঘর সামলান। ঘরকে মজবুত করুন। আমার ৪২-এর মধ্যে ৪২-টাই চাই। ২ বছরে নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করুন।”
প্রসঙ্গত, এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া। রিটারনিং অফিসারের ভুমিকায় ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তৃণমূলের এই সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাক্ষী হওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলিকেও (বিজেপি বাদে) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও অভিনব। এছাড়াও বিশেষ পর্যবেক্ষক , সাংবাদিক, অভিনেতা এবং বিশিষ্টরা। এবং ফের দলের শীর্ষপদ গ্রহণ করেই একতার বার্তা দিয়েছেন। সবশেষে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, সর্বভারতীয় স্তরে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। অন্য রাজ্যের নেতারাও তাতে জায়গা পাবেন। নতুন ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম বৈঠক হবে দিল্লিতে।