প্রতিবেদন : চিরকাল সততার পথে চলেছি, আইন-ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। চাই অবিলম্বে সত্য সামনে আসুক। এখন শান্তনু ঠাকুরকেই প্রমাণ করতে হবে অভিযোগ। মতুয়া মহাসংঘের দায়িত্ব কার— এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের কাছে হাইকোর্টের রিপোর্ট তলবের পর রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর সেই কথা জানিয়ে স্পষ্ট বললেন, তিনি সত্যের পথে রয়েছেন।
আরও পড়ুন-বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ
বৃহস্পতিবার শুনানিতেই তাঁর আইনজীবী সমস্ত নথি পেশ করবেন আদালতে। তখনই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। মমতাবালা ঠাকুর জানান, মতুয়া মহাসংঘের দায়িত্ব বড়মা বীণাপাণি ঠাকুর লিখিতভাবে আমার হাতে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই থেকেই মেলা-সহ ঠাকুরবাড়ির আর্থিক লেনদেনের হিসাবের দায়িত্ব আমার কাঁধে। বন্ধন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সব হিসেব জমা দেওয়া হয়েছে। আয়করের সমস্ত নথি রয়েছে। সময়মতো আমরা তা পেশ করব। এখন অভিযোগ প্রমাণ করার দায়িত্ব শান্তনু ঠাকুরের। কিঞ্চিত সততা থাকলে এটা করতে পারতেন না, বাঁচার জন্য শান্তনু ঠাকুর এই পন্থা নিয়েছেন। মমতাবালা ঠাকুরের আইনজীবীর দাবি, এখনও মামলার নথি হতে পাইনি। সেটা দেখতে আমায় একদিন সময় দিক আদালত।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তিনি জানান, সংঘের আয়কর রিপোর্টে ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথি আছে। এতে বেআইনি কিছু নেই। রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের মুখে সিএএ বিতর্কের মধ্যেই মতুয়া মহাসংঘের কর্তৃত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে আইনি লড়াই। দায়িত্বের টানাপোড়েন নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিদায়ী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের আনা মামলায় বুধবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যকে মামলার কেস ডায়েরি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আজ, বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।