এই বছরের দ্বিতীয় ভাগে মণিপুর (Manipur) জুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। এবার বছর শেষে আবার অশান্ত হয়ে উঠল মণিপুর। মেইতেই বনাম কুকি সংঘর্ষে অনেকবার উত্তপ্ত হয়েছে বিজেপি শাষিত রাজ্য। শনিবার রাতে ফের সীমান্তবর্তী শহর মোরে-তে পুলিশ কমান্ডোদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে এদিন আরপিজি ছোড়া হয়। এর ফলে পুলিশের ব্যারাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চারজন জখম হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন-বছরের শেষ দিনে মহারাষ্ট্রে কারখানায় আ.গুন, মৃ.ত ৬ শ্রমিক
গতকাল বিকেলেই ইম্ফল-মোরে হাইওয়েতে পুলিশের ওপর হামলা হয়। একজন পুলিশকর্মী এই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, বিকেলে হাইওয়ের হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ঘটনা সেখানেই শেষ হয় না, রাতে আবার পুলিশের ওপর হামলা হয়। জখম কমান্ডোদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসম রাইফেলসের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর সেখানে কার্ফু জারি করা হয়।
আরও পড়ুন-মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি ভাঙড়ের ৪ থানা উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
গত ৩ মে থেকে মণিপুর জাতিগত হিংসার সাক্ষী। মাঝে পরিস্থিতি শান্ত হলেও স্বাভাবিক পরিবেশ হয়নি বছরভর। কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে সিংহভাগ মানুষকে সরানো হয়েছে। হিংসার ফলে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমন অভিযোগও নতুন নয়। কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে রাজ্যে। প্রসঙ্গত, তফশিলি উপজাতির ইস্যু ছাড়াও সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে। গত এপ্রিল মাসে এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতে ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। সবমিলিয়ে কোনমতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বছর ঘুরলেও নিরাপত্তা তলানিতে।