ভুয়ো জাতিগত (Fake caste certificate) শংসাপত্র চিহ্নিত করতে জেলায় জেলায় বিশেষ আধিকারিক নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ব্লক পিছু একজন করে অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে সারা রাজ্যে আড়াইশোর কাছাকাছি আধিকারিক নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের ইন্সপেক্টর, সরকারি দফতরের এক্সটেনশন অফিসার, হেডক্লার্ক এবং আপার ডিভিশন ক্লার্কদের এই কাজে নিয়োগ করা হবে প্রতি মাসে তাঁদের ১২হাজার টাকা সাম্মানিক দেওয়া হবে। অভিজ্ঞতা থাকায় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের অবসরপ্রাপ্তরা নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন। এই মর্মে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে। এই আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত যত ভুয়ো শংসাপত্র বিলি করা হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে বাতিল করার সুপারিশ করতে পারবেন। রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও পুরসভায় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ইন্সপেক্টর জাতিগত শংসাপত্রের (Fake caste certificate) আবেদন যাচাই করেন। তাদের ওপর চাপ কমাতে এই আধিকারিকদের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ঘিরে ব্যবসা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের তফশিলি বন্ধু প্রকল্প। কেননা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপশিলি জাতির ৬০ বছরের বেশি মানুষেরা ১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে পেনশন পান। তাছাড়া নানা সরকারি চাকরি ও নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতেও এই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করা হয়।