প্রতিবেদন : গণতন্ত্রকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে কেন্দ্রের শাসকদল। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করছে বিজেপি। গত বৃহস্পতিবার বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) গ্রেফতার করেছে ইডি। কেজরিকে আবগারি দুর্নীতি মামলার মূলচক্রী বানিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু এই দুর্নীতকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত পি শরৎচন্দ্র রেড্ডি গ্রেফতার হওয়ার পর নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে ঘুষ দিয়ে এখন জেলের বাইরে। বিজেপিকে ঘুষ দিয়ে খুশি করায় ইডিও তাঁর জামিনে কোনওরকম বিরোধিতা করেনি। এর থেকেই স্পষ্ট, তদন্তে কোনও নিরপেক্ষতা নেই। তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির উপর বিজেপির অঙ্গুলিহেলনের যে অভিযোগ করে এসেছে, যত দিন যাচ্ছে সেইসব অভিযোগ অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে। ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর দিল্লির আবগারি দুর্নীতির তদন্তে অরবিন্দ ফার্মা নামে এক ওষুধ সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর পি শরৎচন্দ্র রেড্ডিকে সর্বপ্রথম গ্রেফতার করেছিল ইডি। নির্বাচনী বন্ডের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৫ দিন পরই অরবিন্দ ফার্মা ৫ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনে বিজেপির তহবিলে জমা করে। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন রেড্ডি। বিজেপিকে ঘুষ দিয়ে খুশি করায় ইডিও তাঁর জামিনের কোনও বিরোধিতা করেনি। উল্টে আবগারি দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে যান রেড্ডি। পরে অরবিন্দ (Arvind Kejriwal) ফার্মা আরও ২৫ কোটি টাকার বন্ড কিনে বিজেপির তহবিলে জমা করে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বিজেপিকে খুশি করে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সেই অভিযুক্তই এখন মামলার রাজসাক্ষী। অর্থাৎ বিজেপির কথা শুনলেই সাত খুন মাফ!
আরও পড়ুন- কর্মসংস্থানেও ভরাডুবি সেই মোদির গ্যারান্টির, অভিষেকের চ্যালেঞ্জের ১০ দিনেও উত্তর নেই বিজেপির