বুয়েনস আইরেস, ২৩ নভেম্বর : মৃত্যুর পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দিয়েগো মারাদোনার। আগামী বৃহস্পতিবার প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তার আগে ’৮৬ বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকার বিরুদ্ধে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ করেছেন কিউবার এক মহিলা। ৩৭ বছর বয়সি ম্যাভিস আলভারেজ নামের ওই যুবতীর দাবি, ২১ বছর আগে তাঁকে হাভানার এক হোটেলে ধর্ষণ করেছিলেন মারাদোনা! মাত্র ১৬ বছর বয়সে ধর্ষিতা হওয়ার ফলে, তাঁর কৈশোরের দিনগুলো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাভিস।
শুধু ধর্ষণই নয়, প্রয়াত মারাদোনার বিরুদ্ধে অপহরণ, নারীপাচার, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে নেশা করানো ও শারীরিক নিগ্রহেরও অভিযোগ তুলছেন ওই মহিলা। এই মামলার সাক্ষ্য দিতে ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি থেকে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে এসেছেন ম্যাভিস। তাঁর দাবি, সেই সময় মারাদোনার বয়স ছিল ৪০। মাদকের নেশা ছাড়ানোর জন্য সেই সময় হাভানার এক ক্লিনিকে বেশ কয়েক মাস ছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : দমদম বিমানবন্দরের রানওয়েতে কুকুর, নামার মুখে ফের আকাশে উঠল ব্রাত্য, কুণাল, সায়নীদের বিমান
ম্যাভিসের বক্তব্য, ‘‘আমার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেছিল দিয়েগো। সেই সময় ঘরের বাইরে থেকে আমার মা কেঁদে কেঁদে বারবার দরজায় ধাক্কা দিলেও দিয়েগো ভ্রুক্ষেপও করেনি। বরং আমাকে টানা ধর্ষণ করেই যাচ্ছিল। আমার কৈশোর পুরোপুরি ভাবে নষ্ট করে দিয়েছিল ও। ওই সময়ের কথা মনে পড়লে আজও আঁতকে উঠি।’’
নির্যাতিতা মহিলা আরও জানান, ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকটা বছর তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন মারাদোনা। এ নিয়ে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের আপত্তি থাকলেও, কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারেননি। কারণ কিউবার তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ফিদেল কাস্ত্রো ছিলেন মারাদোনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ম্যাভিস আরও দাবি করেছেন, ২০০১ সালে তাঁকে কার্যত অপহরণ করে হাভানা থেকে বুয়েনস আইরেসে নিয়ে এসেছিলেন মারাদোনা।