সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : পশ্চিমবঙ্গবাসী বরাবরই অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তার জন্য প্রাণ দিয়েছে। এখানকার আন্দোলনের ইতিহাসে নন্দীগ্রাম ভূমিরক্ষার জন্য জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে। যে আন্দোলন সাম্প্রদায়িক ঐক্যেরই বড় দৃষ্টান্ত। সেই ঐতিহাসিক নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ৭ জানুয়ারি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৭ সালের এই দিনেই প্রথম শহিদ হয়েছিলেন তিন ভূমিপুত্র— সোনাচূড়ার ভরত মণ্ডল, সাউথখালির বিশ্বজিৎ মাইতি ও গড়চক্রবেড়িয়ার শেখ সেলিম।
আরও পড়ুন-বাড়িতে পরিষেবা দেবে ‘হ্যালো ডাক্তারবাবু’
তারপর থেকে প্রতি বছর এইদিনে স্মরণসভা করে সেই শহিদদের শ্রদ্ধা জানায় ভূমি–উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। শুক্রবারও কাকভোরে ভাঙাবেড়ায় মোমবাতি মিছিল ও স্মরণসভা হয়। ২০০৭–এর ৬ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের এতিমখানায় ভূমি–উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়। পরের দিনই জমিহাঙররা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের উপর। খেজুরির তালপাটির দিক থেকে যথেচ্ছ গুলি চালালে তিনজন শহিদ হন। সেই আত্মবলিদান দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার শহিদবেদিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল।
আরও পড়ুন-ফুটপাতের হকার পাবেন স্থায়ী দোকান
ছিলেন শহিদমাতা তথা বিধায়ক ফিরোজা বিবি, প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন, আবু তাহের, স্বদেশ দাস, আবদুস সামাদ, সোয়েম কাজি প্রমুখ। এরপর স্মরণসভা হয়। সভাপতিত্ব করেন সোনাচূড়া অঞ্চল ভূমি–উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কালীকৃষ্ণ মণ্ডল। স্মৃতিতর্পণ করে ভূমি আন্দোলনে নন্দীগ্রামবাসীর ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংগ্রামের ইতিহাস ব্যক্ত করেন উপস্থিত নেতারা। হিন্দু–মুসলিম সকলের সম্মিলিত আন্দোলনকে ক্ষমতার স্বার্থে কেউ বিভেদ, বিদ্বেষ ও মেরুকরণের রাজনীতির মাধ্যমে কলুষিত করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার ডাক দেন বক্তারা।