গা-হাত-পায়ে ব্যথা-যন্ত্রণা এসব খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। এরকম কোনও সমস্যায় পড়লে অনেকেই সরাসরি চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ঘরোয়া টোটকার শরণাপন্ন হন। গা-হাত মালিশ করিয়ে আরাম পেতে চান। আজকাল অবশ্য বডি ম্যাসাজ একটা বিশেষ আর্ট ফর্মও বটে। অনেকেই এই ব্যবসার মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু মানুষ বা রোবট ‘ম্যাসাজ’ করে দিচ্ছে এটা স্বাভাবিক হলেও যদি জানা যায় ভয়ঙ্কর অজগর সাপ গা-হাত-পা মালিশ করে দেবে, তাহলে পিলে চমকে উঠতে বাধ্য।
আরও পড়ুন-প্রতারণা করেছেন মোদি তোপ দাগলেন ডেরেক
তবে বিশ্বে বহু আজব ঘটনার মতো এই কাণ্ড বিরল নয়। ইন্দোনেশিয়ার একটি স্পা-তে অজগরের ‘সেবা’ নেন অনেকেই। সেই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বালি দ্বীপের এক স্পা’তে এমন আজব কাণ্ড দেখা যায়। সেখানকার কর্মকর্তাদের মতে, অজগর সাপ দিয়ে যেভাবে ম্যাসাজ করানো হয়, তাতে আদৌ ভয়ের কিছু নেই। কারণ ম্যাসাজ শুরুর আগে অজগরকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়। আর অজগর সাপ যেহেতু ছোবল মারে না, তাই পেটে খিদে না থাকলে অজগর মানুষকে গিলতে যাবে কেন? এছাড়া ম্যাসাজের আগে অজগরের মুখও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সুতরাং চাইলেও সে কাউকে কামড়াতে বা গিলতে পারে না।
আরও পড়ুন-গোবলয়ে কমছে কন্যার জন্মহার, বেটি বাঁচাও স্লোগান ব্যর্থ বিজেপি রাজ্যেই
এই ম্যাসাজের সময় অবশ্য কোনও মানুষকে জলজ্যান্ত অজগরের কাছে একা রাখা হয় না। সবসময়ই একজন সুপারভাইজার কাছে থাকেন। তিনি সবটা দেখাশোনা করেন। তবে প্রশ্ন হল, অজগরের ম্যাসাজ কি উপকারী? যখন প্রায় তিন মিটার লম্বা আর আট কেজির মতো ওজনের একটা সাপ শরীরের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক। সাপের পিচ্ছিল শরীর পিঠে যত নড়াচড়া করে, ততই ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর তাতেই নাকি অ্যাড্রেনালিন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে শরীর অনেক বেশি সুস্থ থাকতে পারে।