প্রতিবেদন : নিজ ভূমি, নিজ গৃহ। বাম জমানা থেকে তাঁরা ছিলেন বঞ্চিত। অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হস্তক্ষেপে তাঁরা পেলেন জমি। মানে জমির পাট্টা। এই পাট্টা পাওয়ায় এবার তাঁরা নিজের গৃহনির্মাণে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। দীর্ঘ দেড়শো বছর পর তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আর এই স্বপ্ন পূরণ হল মাত্র ১৩ দিনে। এজন্য গ্রামবাসীরা উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আমাদের দিকে কেউ ফিরে তাকায়নি। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জানাই লাখাে সেলাম। শনিবার ছিল শিবরাত্রি। তাই উৎসব হতে পারেনি। তাই আজ রবিবার এই উৎসব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) মাতকাতপুরে (Matkatpur) সেচ দফতরের জমিতে বাম জমানার বহু আগে থেকে বসবাস করে আসছে এই পরিবার। পরিবর্তনের সরকার আসার পর ওইসব মানুষজনদের নতুন জীবনের স্থায়ী ঠিকানা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও গত বিধানসভার ভোটের প্রেক্ষিতে এই এলাকার মানুষজন ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে। কারণ বিজেপিরও প্রতিশ্রুতি ছিল জমির পাট্টা দেওয়ার। কিন্তু সেই কাজও তারা করেনি। শেষ পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে মোট ২১৪ জন এই জমির পাট্টা পেলেন। কংসাবতীর নদীর তীরে মাতকাতপুর (Matkatpur)। ওই গ্রামের বাসিন্দা মমতা রায় বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কাছে যেন দেবদূত হয়ে এসেছেন। আর এক গ্রামবাসী নিরঞ্জন রায় বলেন, এই পাট্টা আমাদের আবাস যোজনার আর্থিক সহায়তা দেবে। পঞ্চায়েত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শিউলি সাহা শনিবার বলেন, এবার ওইসব মানুষজন বাড়ি করার জন্য নিজ গৃহ প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন। এনিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হবে। যে ২১৪ জন এই জমির পাট্টা পেলেন তাঁদের মধ্যে তফসিলি সম্প্রদায়ে ভুক্ত ২০৩, সাধারণ ১২ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ৩। মোট ২.৮২৯৯ একর জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগেই ভাঙল কংগ্রেস