প্রতিবেদন : মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য বারবার বাড়ি-ঘর, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে মানুষের। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বউবাজার এলাকার বাসিন্দারা। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে স্থায়ী সমাধান সূত্র খোঁজার জন্য এবার রাজ্য সরকার মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার নবান্নে দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-বাংলা সাহিত্যে খাবার
সেখানে তিনি বউবাজার এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। বারবার কেন ওই এলাকার বাসিন্দাদের এহেন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যৌথ পরিদর্শনে যায় রাজ্য সরকার ও মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরে মেয়র বলেন, চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটানো বউবাজারের এই ভিটেহারাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। দ্রুত স্থায়ী সমাধান বের করতে বলেছেন তিনি। যে সমস্ত বাড়ির মালিকরা ৩০ দিনের বেশি ভিটেহারা, তাঁদের পাঁচ লাখ টাকা এবং দোকান মালিক ও ভাড়াটেদের দেড় লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন-খানাপিনা
ফিরহাদ হাকিমের ঘোষণা:
১) ৩০ দিনের বাইরে যাঁরা থাকবেন তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা করে দেবে কেএমআরসিএল এবং শিল্পী (আর্টিসানরা) দেড় লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
২) লোকাল ক্যাম্প হবে। লোকাল পুলিশ থাকবে।
৩) এর পরে ওই এলাকায় কোনও কাজ করতে হলে কেএমসি এবং কেপিকে আগে থেকে জানতে হবে। তাহলে এই এলাকার মানুষদের আগে থেকেই হোটেলে শিফট করিয়ে দেওয়া হবে।
৪) কেএমআরসিএল মেট্রোর কাজ শেষ হওয়ার পর তিন বছর depression হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এই সময়কালে যদি কোনও বাড়ির ক্ষতি হয় কেএমআরসিএল দায়িত্ব নেবে।
৫) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী ৭১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুর্গা পিতুরি লেনে। এই বাড়িগুলি পুনর্নির্মাণ করার দায়িত্ব কেএমআরসিএল- এর।