প্রতিবেদন : ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের স্মরণসভায় আবেগের বিস্ফোরণ। প্রয়াত কিংবদন্তি কোচ-ফুটবলারের একদা সতীর্থ এবং শিষ্যরা এদিন ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকে ভগ্ন হৃদয়ে সুভাষকে স্মরণ করলেন। কেরলের ত্রিচুর থেকে কলকাতায় সুভাষের স্মরণসভায় এসে আই এম বিজয়ন টাইম মেশিনে চেপে ফিরে গেলেন ৩১ বছর আগের একটি সময়ে। যখন তাঁর মতো এক জুনিয়র ফুটবলারকে মোহনবাগানের তারকা ফুটবলারদের ভিড়েও কীভাবে খেলার সুযোগ দিয়েছিলেন কোচ সুভাষ। যাঁকে তিনি ‘ড্যাডি’ বলে ডাকতেন।
আরও পড়ুন-নিলামে বাংলার ১৪ দল পাওয়া নিয়ে আশায় মন্ত্রী মনোজ
আশিয়ানজয়ী দলের দেবজিৎ ঘোষ, আলভিটো ডি’কুনহা, ষষ্ঠী দুলেরা তাঁদের গুরুকে স্মরণ করলেন। স্মৃতিচারণ করলেন সত্তরের দশকে সুভাষের সতীর্থ শ্যাম থাপা, সমরেশ চৌধুরিরা।
স্মরণসভায় প্রয়াত ফুটবলার ও কোচের স্মৃতিচারণ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর অনুমতি নিয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ঘোষণা করেন, নিউআলিপুরে সুভাষের বাড়ির কাছেই একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। প্রয়াত কোচের নামেই হবে উদ্যান। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রয়াত কোচের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ সহায়তা করেছে। এছাড়াও ক্লাবের তরফ থেকে ফেডারেশনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে মরণোত্তর দ্রোণাচার্য পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় প্রয়াত কোচকে। এছাড়াও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে আইএফএ-কে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নার্সারি ডিভিশনের সেরা ফুটবলারকে সুভাষ ভৌমিকের নামাঙ্কিত পুরস্কার দেওয়ার জন্য।