প্রতিবেদন : নদিয়ার জেলার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাজদিয়া, শিবনিবাস, মাটিয়ারি ইতিহাসপ্রসিদ্ধ জায়গা হিসাবে পরিচিত। কৃষ্ণগঞ্জের আম, খেজুর গুড়ের খ্যাতি আছে। এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই কৃষি-নির্ভরশীল। ধান, পাট-সহ অন্য ফসলেরও চাষ হয় এলাকায়। তবে করোনা-পরবর্তীকালে প্রথাগত ধান-পাট-সবজির বিকল্প হিসেবে কাঁঠাল চাষ করে ভাল লাভের মুখ দেখছেন কৃষ্ণগঞ্জের কৃষকেরা। এখানকার এঁচোড়-কাঁঠালেরও খ্যাতি আছে।
আরও পড়ুন-আজীবন এই দল ধরে রাখতে চাই : শাহরুখ
অল্প বিনিয়োগ ও শ্রমে ভাল আয় হওয়ায় অনেক চাষিই এখন বাগানে আম-কাঁঠাল গাছ লাগাচ্ছেন। এবছর ফলন ভাল হওয়ায় মাজদিয়া থেকে অনেক জায়গায় কাঁঠাল রপ্তানি হচ্ছে। কাঁঠাল পাকতে এখনও দেরি থাকলেও তার আগেই এঁচোড় বিক্রি করেই ভাল লাভ করছেন চাষিরা। রাজ্যের অন্য এলাকা ছাড়াও ওড়িশা, কেরলেও প্রচুর এঁচোড় রপ্তানি হচ্ছে। চাষিদের কথায়, করোনা-পরবর্তী সময়ে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণে এঁচোড়-কাঁঠাল দেশ জুড়ে রপ্তানি হচ্ছে। গ্রাম থেকে কাঁঠাল এসে জমা হয় মাজদিয়া বাজারে। চাষিরা আড়তদারদের কাছে তাঁদের গাছের এঁচোড় বিক্রি করেন পাইকারি হিসাবে। এখন যার বাজার দর ৮-১০ টাকা কেজি। এই দরেই সরাসরি আড়তদারকে বিক্রি করছেন চাষিরা। সেখান থেকেই মাজদিয়ার এই এঁচোড় পাড়ি দিচ্ছে এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। পাশাপাশি অন্য রাজ্যেও। এখানকার এঁচোড়ের খ্যাতি থাকায় তার বাজার ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে। ফলে এখন এঁচোড় চাষ করেই বছরে প্রায় দেড়-দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার হচ্ছে চাষিদের। ফলে তাঁরা সেদিকেই ঝুঁকছেন বেশি।