সংবাদদাতা, পাথরপ্রতিমা : সুন্দরবনের (Sundarban) বিচ্ছিন্ন দ্বীপ পাথরপ্রতিমা (Patharpratima)। অনেকগুলি দ্বীপের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে এই ব্লকটি। নদীবেষ্টিত এলাকায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে সময় লাগে অনেকটাই। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সাধারণ মানুষজনকে অনেক অসুবিধা ও সমস্যা পোহাতে হত। সেই সমস্যার কিছুটা সমাধানের লক্ষ্যে পাথরপ্রতিমায় শুরু হয়েছে দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অধীনে পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) প্রত্যন্ত দ্বীপগুলিতে চিকিৎসকরা পৌঁছে যাচ্ছেন নৌকায় চেপে। ফলে সাধারণ মানুষ ভীষণই খুশি। পাথরপ্রতিমার জি প্লট, শ্রীধরনগর-সহ একাধিক এলাকার মানুষজনকে এতদিন বড় কোনও রোগের চিকিৎসা করাতে নিকটবর্তী কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অথবা ডায়মন্ডহারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটতে হত। সেক্ষেত্রে প্রায় গোটা দিন লেগে যেত শুধুমাত্র হাসপাতালে পৌঁছতেই। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতেন তাঁরা। এবার ডায়মন্ডহারবার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাই নৌকা নিয়ে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পাথরপ্রতিমার বিডিও রথীনচন্দ্র দে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুর রাজ্জাক-সহ সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির কর্মকর্তারা। এছাড়াও মাধবনগগর এমপিসিএস-এ করা হয় বিশেষ সেন্টার। সেখানে শল্যচিকিৎসা, শিশুরোগ, প্রসূতি-সহ স্ত্রীরোগের জটিল চিকিৎসাও করা হচ্ছে। প্রথম দিনে ৬০০ ও দ্বিতীয় দিনে প্রায় হাজারখানেক স্থানীয় বাসিন্দার বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসা করা হয় সেখানে। সরকারের তরফে এমন চিকিৎসা পরিষেবা তাঁদের বাড়ির প্রায় দরজায় পৌঁছে যাওয়ার ফলে খুশিতে আত্মহারা স্থানীয় মানুষজন। সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের অধিবাসীরা।
আরও পড়ুন: বাংলার নির্বাচনে কি বিজেপিকে সাহায্য করেছিল কংগ্রেস? রাহুলকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের