প্রতিবেদন : সরকারিভাবে ঘোষণা করা না হলেও গোটা বিশ্ব এটা জেনে গিয়েছে যে, কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এই মুহূর্তে রাজকোষে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে বড়জোর চার-পাঁচদিন সরকারি পরিষেবা চলতে পারে। টাকা না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমদানি। বিভিন্ন দেশে দূতাবাস বন্ধ করে কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে গুজব ছড়ায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পদত্যাগ করতে পারেন। পাকিস্তানের সর্বত্রই শুধুই হাহাকারের ছবি।
আরও পড়ুন-ফের মাসের প্রথম দিন বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম
সব ধরনের খাদ্য, শাকসবজি চায়ের দাম আগেই সাধারণ মানুষের নাগাল ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবার পাকিস্তানে ভয়াবহ ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এমনিতেই পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিষেবা যথেষ্টই নড়বড়ে। এরই মধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই ওষুধ মিলছে না। ওষুধের অভাবে বেড়েই চলেছে রোগীমৃত্যুর সংখ্যা। জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া বাকি সব অস্ত্রোপচারই পিছিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোগীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চরম আতঙ্ক। হাসপাতালগুলিতে ওষুধ না থাকার কারণে বহু রোগী অকালেই প্রাণ হারাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শরিফ দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে কম দামে ওষুধ পাঠাতে বললেও তারা তা দিচ্ছে না। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা কাঁচামালের অভাবে ওষুধ তৈরি করতে পারছে না। অন্যদিকে পাকিস্তানে আটা, ঘি, তেল ও চায়ের দাম শুনলে চমকে উঠতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অতি সাধারণ খাবার চিকেনের দাম কেজিপ্রতি বেড়ে হয়েছে ১ হাজার টাকা। এক লিটার দুধের দাম ২৫০ টাকায় পৌঁছেছে।