প্রতিবেদন : আগামী ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে ছাত্র-যুব সমাবেশের জন্য শনিবার মাঠ পরিদর্শন করলেন ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। সমাবেশের জন্য মাঠ ঘুরে দেখার পাশাপাশি পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। এদিন দুপুরে যুব নেতা সুমিত রায়, শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু, সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌম্য বক্সি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, স্বরূপ বিশ্বাস-সহ অন্যরা মাঠ ঘুরে দেখেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ২৯ মার্চ ঐতিহাসিক সভা হতে যাচ্ছে। মাঠে তিলধারণের জায়গা থাকবে না।
আরও পড়ুন-কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য, ২৩ হাজার শিক্ষককে শো-কজ, অনুপস্থিত কর্মীদের বেতন কাটার নির্দেশ
এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রায় ৬০ ফুটের মঞ্চ করা হবে। সোমবার থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হবে। মাঠের কোনদিকে মঞ্চ হবে, সমাবেশে আসা গাড়ি কোথায় রাখা হবে, কোনদিক দিয়ে ছাত্র-যুবরা মাঠে ঢুকবে, এসব নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নেয় ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। প্রথমে অনুমতি নিয়ে টালবাহানা করলেও শনিবার দুপুরেই সেনার তরফে ছাত্র-যুব সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই সভার মূল বক্তা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আগামী ২৯ মার্চ শহিদ মিনার ময়দান উপচে পড়বে ছাত্র-যুবদের ভিড়ে৷ রাজ্যের সব জেলা থেকেই ছেলে-মেয়েরা আসবে সমাবেশে। এই সভা থেকেই ছাত্র-যুব সমাজকে দিক নির্দেশিকা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-মাঝ আকাশে অচেতন পাইলট, বিমান নামালেন যাত্রী কাম পাইলট
বিভিন্ন জেলায় নিয়ম করে সভা-সমাবেশ করলেও দীর্ঘদিন বাদে কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবেশে বলবেন। ফলে তাঁর কথা শোনার অপেক্ষায় ছাত্র-যুব সমাজ। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির ‘এজেন্সি রাজনীতি’র বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলার বঞ্চনা নিয়েও সরব হবেন তিনি। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে কলকাতার ছাত্র-যুব সমাবেশের মঞ্চ থেকে অভিষেক কী বার্তা দেন সেদিকে লক্ষ্য থাকবে বঙ্গ ও জাতীয় রাজনীতির কুশীলবদের।