প্রতিবেদন : এই প্রথম কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের বিরোধিতায় সোচ্চার হলেন। বিজেপি ঘনিষ্ঠ মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Satya Pal Malik) নরেন্দ্র মোদি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে স্পষ্ট বললেন, অবিলম্বে এই প্রকল্প প্রত্যাহার করা হোক। কারণ, অগ্নিপথ প্রকল্প কখনওই দেশের যুব সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষা করবে না। বরং এই প্রকল্প চালু হলে সরকারের সঙ্গে গ্রামের দূরত্ব বাড়বে। এতদিন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস-সহ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে কথা বলে আসছিল ঠিক সেই কথাটাই বলেছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। যিনি আবার খোদ মোদির ঘনিষ্ঠ ও পছন্দের বলে দাবি করেন বিজেপির লোকজনই।
চলতি মাসের ১৪ তারিখ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার। ওই প্রকল্প ঘোষণার পরে গোটা দেশজুড়ে বিক্ষোভে নামে যুব সম্প্রদায়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি-সহ অন্যান্য রাজ্যে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা জানার পর হতাশায় আত্মঘাতী হয়েছেন সেনায় চাকরিপ্রত্যাশী দুই যুবক। কিন্তু এতদিন সরাসরি অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কোনও রাজ্যপাল মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন: সংবিধান-বিরোধী বুলডোজার-তন্ত্র, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রতিরোধী-যন্ত্র
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Agnipath- Satya Pal Malik) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনুরোধ করছি, তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের কথা ভেবে এই প্রকল্পটি প্রত্যাহার করুন। কারণ, অগ্নিপথ প্রকল্প কখনওই যুব সমাজের স্বার্থরক্ষা করবেন না। জোর করে এই প্রকল্প চালু করতে গেলে সরকার দেশের তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের কাছে আরও অপ্রিয় হবে। ইতিমধ্যেই কর্নাটক, হরিয়ানার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অগ্নিপথ প্রকল্পকে সমর্থন করে জানিয়েছেন, চার বছর পর অগ্নিবীরদের রাজ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। এ বিষয়ে সত্যপাল বলেছেন, চার বছর পর ওই মুখ্যমন্ত্রীরা নিজেরাই যে ক্ষমতায় থাকবেন এ বিষয়ে কি কোনও নিশ্চয়তা আছে? সেক্ষেত্রে যে মুখ্যমন্ত্রীরা আজ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা যদি ক্ষমতায় না থাকেন তাহলে অগ্নিবীরদের কী হবে? এধরনের ঠুনকো প্রতিশ্রুতি যুব সম্প্রদায়ের কাছে কখনওই আশার আলো হতে পারে না। এর আগে মোদি সরকারের কৃষি আইনের সমালোচনা করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন সত্যপাল। তখনও বলেছিলেন, সত্য বলতে তিনি ভয় পান না।