প্রতিবেদন : শনিবার মেট্রোর (Metro) ফাটলের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বউবাজার লাগোয়া দুর্গাপিতুরি লেনের বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন মেট্রো কর্তারা। পরিদর্শনের পর তাঁরা জানিয়েছেন বেশ কিছু বাড়ি মেরামত করা গেলেও তিনটি বাড়ি আর মেরামত করা সম্ভব নয়। মেট্রোর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ১৬, ১৬এ ও ১৯ নম্বর এই তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে। কোনও মহল থেকে দাবি করা হয়েছে তিনটি নয়, একটি বাড়ি ভাঙার কথা বলেছেন তাঁরা। মেট্রো (Metro) কর্তাদের এই পরামর্শের পরই এলাকাজুড়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ বিক্ষোভ আরও বেড়েছে। মেট্রো কর্তারা ফোন করে তাঁদের পরামর্শ স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দেকে জানিয়ে দেন। এরপরই মেট্রো কর্তাদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্বরূপ দে ও স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা কোনও মতেই মেট্রোর এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না। ক্ষোভের সঙ্গেই বিশ্বরূপ বলেন, বাড়ি ভেঙে ফেলতে হবে বললেই ভেঙে ফেলা সম্ভব নয়। বাসিন্দারা ছেড়ে চলে গেলেও বাড়ির মধ্যে তাঁদের আসবাব সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু রয়ে গিয়েছে। তা সরানো কম কথা নয়। সেই সঙ্গে প্রশ্ন, তাহলে নতুন বাড়ি তৈরি করবে কে? বাড়ি ভাঙা পড়লে বাসিন্দারা যাবেন কোথায়? আড়াই বছর আগে যাঁরা বেঘর হয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই এখনও নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেননি। অভিযোগ, তাঁরা ক্ষতিপূরণও পাননি। সবমিলিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার দিকেই আঙুল তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় যদি এই বাড়িগুলি ভেঙে ফেলা হয় তাহলে ওই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ কী? কোথায় থাকবেন তাঁরা? যদি শরিকি বাড়ি হয় তাহলে কী হবে? প্রায় প্রতি বাড়িতেই ভাড়াটিয়া আছেন। তাঁদের দায়িত্ব কে বা কারা নেবেন, যার কোনও উত্তর নেই। ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে জট ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণকাজও পিছিয়ে যাচ্ছে নিশ্চিত ভাবে। মেট্রোর তরফেও তা কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানিয়েছেন, গোটা সমস্যার সমাধানে তাঁরা দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান আইআইটি রুরকির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এই সমস্যা সমাধানে তাঁদের মতামতও চাওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞরা কলকাতায় আসছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জল পরীক্ষায় বাংলা দেশে প্রথম