প্রকোপ কিছুটা কমলেও করোনা মহামারির আতঙ্ক থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি রাজ্যবাসী। এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো। অতিমারির দাপটে গতবছর জৌলুসহীন ছিল বাঙালির সেরা উৎসব। এবার যদিও পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। তবে এবারও উদ্যোক্তাদের বিধি-নিষেধ মেনেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে হবে। ইতিমধ্যেই মণ্ডপগুলোর ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ছিলেন সিইএসসি ,পিডব্লিউডি এবং দমকলের আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন-যোগীর পুলিশ সব ভ্যানিশ করে দিয়েছে, জানালেন কাকলি ঘোষদস্তিদার
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, গতবারের মতো এবারও করোনাবিধি মেনেই এবারও মণ্ডলগুলোতে দুর্গাপুজো হবে। বজায় থাকবে ”নো এন্ট্রি” নিয়ম। আগে থেকে জানাতে হবে পুজোর সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের নাম। বড় পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১২ জন স্বেচ্ছাসেবকের তালিকা তৈরি করতে হবে। এবং তা মণ্ডপের বাইরে টাঙিয়ে দিতে হবে।
এদিকে উৎসবের দিনগুলিতে অতিরিক্ত একঘণ্টা মেট্রো চলবে। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী— পুজোর এই মূল তিনদিন নর্থ-সাউথ করিডরে দর্শনার্থীদের যাতায়াতের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশি জানান, করোনাবিধি মেনে স্রেফ স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমেই কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত পরিষেবা মিলবে। এই মুহূর্তে রাত সাড়ে ৯টায় শেষ মেট্রো পাওয়া যাচ্ছে। পুজোর তিনদিন শেষ মেট্রো দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। ওই সময়ে দিনে দু’টি ট্রেনের সময়ের ব্যবধান বাড়বে। তবে সন্ধ্যার পর ঘনঘন ট্রেন মিলবে। তবে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন-যোগীর পুলিশ সব ভ্যানিশ করে দিয়েছে, জানালেন কাকলি ঘোষদস্তিদার
একইসঙ্গে উৎসবের দিনগুলিতেও রাজ্যজুড়ে চলমান বিধি-নিষেধ জারি থাকবে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই বিধি বাড়িয়েছে সরকার। যদিও পুজোর দিনগুলিতে রাতের বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল থাকবে। ফলে রাত জেগে ঠাকুর দেখতে সমস্যা হবে না উৎসবমুখর বাঙালির। অক্টোবরে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু বহাল থাকবে। ১০ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত রাতে যান চলাচল ও মানুষের যাতায়াতে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।