শনিবার সন্ধ্যায় লাদাখে (Ladakh) গিলগিট এলাকার চিলাস শহরে এক যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ করেই হামলা জঙ্গিদের (Terrorist)। বাসটি ঘিজার থেকে রাওয়ালপিণ্ডির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বাসে থাকা কমপক্ষে ৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই হামলার ফলে আরও ১৫ জন যাত্রী জখম হন। প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মদ আলি জোহর জানান, শনিবার সন্ধ্যায় জঙ্গিরা বাসে গুলি চালায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বাস লক্ষ্য করে এভাবে গুলি চালানোর উদ্দেশ্য এখনো জানা যায় নি।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নিকটবর্তী গিলগিট বাল্টিস্তানের পাহাড়ি এলাকায় এই চিলাস শহর। এই এলাকায় প্রতিনিয়ত জঙ্গি হামলা বেড়ে চলেছে। কয়েকটি হামলার দায় পাকিস্তানি তালিবান বা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি)। এই চিলাসের পাশে নির্মীয়মাণ একটি বাঁধ চিনের সাহায্য তৈরি হচ্ছে। এই আবহে গিলগিট ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা চিলাসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন-জগন্নাথ মন্দিরে বাতানুকূল করিডর দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন পুণ্যার্থীরা
উসূত্রের খবর, গুলির কারণে বাসটিতে আগুন লেগেছে। মহিলা ও শিশু সহ অনেকে আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা মারে, যার ফলে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। দিয়ামারের জেলা প্রশাসক ক্যাপ্টেন (অব.) আরিফ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আরিফ আহমেদ বলেছেন, “একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে যেখানে ঘিজারের গাহকুচ থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাসকে লক্ষ্য করে একটি কাপুরুষোচিত কাজ করা হয়েছে।” তিনটি মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং পাঁচটি দেহ ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, “অধিকাংশ লোক কোহিস্তান, পেশোয়ার, ঘিজার, চিলাস, রাউন্ডু, স্কারদু, মানসেহরা, সোয়াবির সিন্ধুর এক বা দু’জন লোক রয়েছে।” তার মতে, “এটি একটি কাপুরুষোচিত কাজ”। এর ফলে দুই পাকিস্তানি সেনা সৈন্য নিহত হয়েছে এবং একজন বিশেষ সুরক্ষা ইউনিটের সদস্য আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘ইগো ছেড়ে বাস্তবতাকে বুঝতে শিখতে হবে’,কংগ্রেসকে তোপ দেবাংশুর
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে চিলাসের কাছে একটি বাস দুর্ঘটনা হয় যেখানে ১২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। বাসটি রাওয়ালপিণ্ডি থেকে কারদুর দিকে যাচ্ছিল। বাসটির সঙ্গে উলটো দিক থেকে আসা আরেকটি গাড়ির ধাক্কা লেগে বাসটি খাদে পড়ে যায়। তিনজন যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরে বাসে থাকা আরও ২৪ জন আহত যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলেই জানা যায়।