বাজার ধরার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে মিমুল

Must read

নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য: দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলিকে চালেঞ্জ জানাতে তৈরি হচ্ছে রাজ্য সরকারের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘মিমুল’ (MIMUL) বা মেদিনীপুর মিল্কস ইউনিয়ন লিমিটেড। গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যা এরই মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়। সেই সাফল্যকে পুঁজি করে এবার গোটা রাজ্যের বাজার দখল করতে তৈরি হচ্ছে মিমুল। শীঘ্রই ডেবরায় গড়ে উঠছে মিমুলের নতুন প্ল্যান্ট। কেশিয়াড়িতে মিমুলের একটি প্ল্যান্ট আগে থেকেই রয়েছে। ডেবরার নতুন প্ল্যান্ট চালু হয়ে গেলেই জেলার বাইরে পা বাড়াতে চায় মিমুল। সে কথাই বলছিলেন জেলার অন্যতম বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজিত মাইতি। শুরুর দিন থেকেই মিমুলের সঙ্গে জড়িয়ে তিনি। অজিত মাইতি বলছিলেন, একটা সমবায় যদি পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে তাহলে তা কোথায় পৌঁছাতে পারে মিমুল (MIMUL) তাঁর বড় উদাহরণ। ২০১৫ সাল থেকে কাজ শুরু করে মিমুল। কেশিয়াড়িতে প্রথম প্ল্যান্ট গড়ে উঠে। সেই প্ল্যান্টে তৈরি দুধ ছাড়াও ঘি, মাখন ও প্যাঁড়া এরই মধ্যে জেলায় দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দিন দিন বিক্রি বাড়ছে মিমুলের পণ্যের। এরই মধ্যে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই মিমুলের প্রায় ৫০টির মতো খুচরো বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। জঙ্গলমহলের এই অঞ্চলে গো-পালন দীর্ঘদিনই খুব জনপ্রিয়। এখানকার গরুর দুধের গুণগত মানও বেশ ভাল। সেখান থেকে মিমুলের ভাবনা শুরু। অজিতবাবু বলেন, মিমুলের মতো দুগ্ধ সমবায় তৈরি হওয়ায় সবদিক থেকেই উপকৃত হচ্ছে স্থানীয় মানুষ। প্রথমত মিমুল এখন দুধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি দুধ কিনছে। এর ফলে দুধ ব্যবসায়ীরা ভাল দাম পাচ্ছেন। তাঁদের রোজগার এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ভাল দুধ পাওয়ায় মিমুলের পণ্যগুলির গুণগত মানও উন্নত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মিমুলের উৎপাদন ও বিপণনেও বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এভাবে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছে মিমুল দুগ্ধ সমবায়। এরই মধ্যে সংস্থায় চারশোর বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছে। বাম আমলে হিমুলের মতো উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সেখানে ব্যতিক্রমী উদাহরণ তৈরি করে এগিয়ে চলেছে মিমুল।

আরও পড়ুন-ম্যানেজমেন্টের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় এবার উত্তরবঙ্গে

Latest article