প্রতিবেদন : বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের পরেই মন্ত্রীদের মধ্যে দফতরের দায়িত্বও বণ্টন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো কালক্ষেপ না করে বৃহস্পতিবার নিজ নিজ দফতরের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। দায়িত্বভার গ্রহণের পর জানিয়ে দিলেন নিজেদের সংকল্পের কথা।
আরও পড়ুন-স্বাধীনতা দিবসে হামলার আশঙ্কা আইবির রিপোর্টে
রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে যেসব মন্ত্রীর দায়িত্ব বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম শশী পাঁজা। শুধুমাত্র তাই নয়, এরাজ্যের প্রথম মহিলা শিল্পমন্ত্রীর শিরোপা উঠেছে অজিত পাঁজার পুত্রবধূর মাথায়। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে শিল্পোন্নয়ন নিগমের দফতরে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নবনিযুক্ত শিল্পমন্ত্রী। এরপর তিনি রাজ্যের শিল্পসচিব বন্দনা যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে আস্থা-বিশ্বাস রেখে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন তা পূরণ করার চেষ্টা করব। কথা নয়, কাজের মধ্যে দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করব।’’ রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রবীণ সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দুপুরে নবান্নে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের বিধায়ক এবং এক দশক ধরে দলের মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব পালন করার সুবাদে পরিষদীয় দফতরের কাজকর্ম সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে। পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে কাজ করব। একই সঙ্গে কৃষি দফতরের দায়িত্বও থাকছে। দুই দফতরের কাজের মধ্যে সমন্বয়ে রেখে কাজ করাই আমার চ্যালেঞ্জ।’’
আরও পড়ুন-তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চিনের
দায়িত্ব পেয়ে উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, ‘‘এ এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। দিদির নিজের হাতে থাকা দফতর ভরসা করে আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। এই বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতেই হবে।’’ এদিন পর্যটন দফতরের দায়িত্ব নিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। সফলভাবেই কাজ করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘টেনশনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নেই। চাপ হল যিনি আমার ওপর ভরসা রেখেছেন, তাঁর ভরসা রাখা। ভাল কাজ করার মোটিভেশন।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রি ভবিষ্যতের জন্যে বড় জায়গা।’’ রাজ্যের মানুষের স্বার্থে পরিবহণ সংক্রান্ত যেকোনও অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধানের লক্ষ্যে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করার পরিকল্পনা নিলেন রাজ্যের নতুন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিন কসবার পরিবহণ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে আধুনিকতার পথে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস জারি থাকবে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবং জ্বালানির খরচ কমাতে ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর কাজও চালিয়ে যাওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন-বিজেপি সাংসদের জরিমানা
তৃতীয়বার সরকারে আসার পরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই৷ এবার সেই দায়িত্ব তিনি তুলে দিলেন উদয়ন গুহর হাতে। দায়িত্ব পেয়ে উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, ‘‘এ এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। দিদির নিজের হাতে থাকা দফতর ভরসা করে আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। এই বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করতেই হবে।’’