পুজোয় নজর কাড়বে মির্জাপুরের কপার জরি, স্বর্ণচরি, বালুচরি

তিনি বলেন, রেশম গুটি থেকে সুতো বের করে তাকে ব্লিচ করা— সবটাই করেন গ্রামের শিল্পীরাই। তারপর হাতে টানা তাঁতে বোনা হয় শাড়ি।

Must read

সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : সামনেই শারদোৎসব। তার আগে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ফিরিয়ে আনছেন মুর্শিদাবাদের মির্জাপুরের শিল্পীরা। এই এলাকা মুর্শিদাবাদ সিল্কের প্রাণকেন্দ্র। টেকসই, পরিবেশবান্ধব, ঐতিহ্যশালী মুর্শিদাবাদ সিল্ক নেহাত শাড়ি নয়, জেলার সংস্কৃতির সঙ্গেও অঙ্গাঙ্গী জড়িত। ইতিহাস অনুসন্ধিৎসুরা জানান, বালুচরির জন্ম আসলে জেলার জিয়াগঞ্জে। রেশম সুতোয় নজরকাড়া শাড়ি বুনতেন গ্রামের দক্ষ শিল্পীরা। পরবর্তীকালে এই শাড়ির অন্যতম কেন্দ্র হয় বিষ্ণুপুর।

আরও পড়ুন-যানজট ঠেকাতে টোটো নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

তবে পুরনো গরিমা ফেরাতে হাল ছাড়েননি জেলার শিল্পীরা। বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে হ্যান্ডলুম তাঁতে বোনা বালুচরি। রঘুনাথগঞ্জ ১ ব্লকের মির্জাপুর গ্রামে দেখা গেল, গ্রাহক টানতে কপার জরিতে স্বর্ণচরি বুনছেন শিল্পীরা। তাঁতের খটর খটর শব্দে শাড়ির পাড়-আঁচলে ফুটে উঠছে হরিণশিশুকে আদররত শকুন্তলা, আবার কোনওটায় বরকনে। কালো, নীল, সবুজ হরেক রঙের উপর জরির খেলা মুগ্ধ করছে ক্রেতাদের। তাঁদের কথায়, এই গ্রামের শিল্পীদের দক্ষতা, দরদের কারণেই শাড়ির গুণমান অনেক ভাল। মির্জাপুরের ব্যবসায়ী তমাল দফাদার জানান, এবছর সেরা মানের মুর্শিদাবাদ সিল্কের পাশাপাশি থাকছে রঙিন গরদ, কপার জরি, বালুচরি, স্বর্ণচরি শাড়ি। তিনি বলেন, রেশম গুটি থেকে সুতো বের করে তাকে ব্লিচ করা— সবটাই করেন গ্রামের শিল্পীরাই। তারপর হাতে টানা তাঁতে বোনা হয় শাড়ি।

Latest article