প্রতিবেদন : ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল উত্তরপ্রদেশের বেহাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সোমবার সন্ধ্যায় বদাঁয়ু জেলায় উষাইত থানার অন্তর্গত সাথারা গ্রামে সমাজবাদী পার্টির এক নেতার বাড়িতে ঢুকে রীতিমতো হত্যালীলা চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এসপি নেতা রাকেশ গুপ্ত। তবে রাকেশ একা নন, দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন রাকেশের স্ত্রী এবং মা। যেভাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের এক নেতার পরিবারকে ভর সন্ধ্যায় খুন করা হয়েছে তাতে যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে বিপাকে ফেলে পেনশন প্রকল্প নিয়ে তীব্র আন্দোলন গুজরাত ও হিমাচলে
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ায় বিভিন্ন মহল থেকে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অমিতকিশোর শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, সপা নেতা রাকেশ গুপ্ত, তাঁর মা ও স্ত্রীর খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। ঘটনার জেরে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাথারা গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
আরও পড়ুন-ভারতীয় সেনায় এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পোশাক
পুলিশ জানিয়েছে, সাথারা গ্রামে সপা নেতা রাকেশের বাড়িতে ঢোকার দুটি দরজা। চারজন দুষ্কৃতী দুটি বাইকে করে তাঁর বাড়ির সামনে আসে। সামনের দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢুকেই তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রাকেশ, তাঁর স্ত্রী সারদা দেবী এবং মা শান্তি দেবী। তিনজনকে খুন করে পিছনের দরজা দিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। সপার জেলা পঞ্চায়েত সদস্য রাকেশ এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। আগে তিনি ব্লক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। এই ঘটনায় সপার প্রাক্তন সাংসদ তথা এলাকার অন্যতম নেতা ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, রাকেশের খুনের ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আমরা চাই দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। বিজেপির মদতেই রাজ্যজুড়ে একের পর খুন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে।