প্রতিবেদন: ধুঁকছে রাজ্যের চটশিল্প। বন্ধ অনেক জুট মিল। আরও কয়েকটি বন্ধ হওয়ার মুখে। এনিয়ে কোনও হেলদোল নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সুখেন্দুশেখর রায় এদিন সাংবাদিক বৈঠকে চটশিল্পের সমস্যা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। তিনি বলেন, অধিকাংশ মালিকরা জুট মিল চালাতে পারছে না। গোটা ইন্ডাস্ট্রিটাই কোলাপস করতে চলেছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়েছি।
আরও পড়ুন-স্বস্তির বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি আমরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফেও কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। চটশিল্পের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে রাজ্যের প্রায় তিন কোটি মানুষ যুক্ত। কেন্দ্রের এই উদাসীনতার ফলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এই মানুষগুলো। এই প্রসঙ্গেই তিনি বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি বলেন, জুটমিলগুলোর দুর্দশা নিয়ে দরবার করতে শুনলাম অর্জুন সিং রাও গিয়েছিলেন। পীযূষ গোয়েল তাঁদের বলেছেন, জুট না পেলে আমরা প্লাস্টিক দেব। এর থেকেই পরিষ্কার কেন্দ্র এ রাজ্যের মানুষের কথা ভাবছে না। উনি যদি সত্যিই এ কথা বলে থাকলে তাহলে অন্যায় করেছেন।
আরও পড়ুন-জখম শ্রমিকদের নিখরচায় চিকিৎসা, হাসপাতালে দেখতে সাবিনা
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে অর্জুন সিং ঠিকই বলেছেন। তবে অর্জুন সিংয়ের গত কয়েকদিনের বিভিন্ন মন্তব্যের পর তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন মুখ খুলে অর্জুন সিং ফের বলেছেন, জুট মিল শ্রমিকদের স্বার্থে প্রয়োজনে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনেও রাজি আছেন।তবে এই ইস্যুতে অর্জুন সিংয়ের দল যে তাঁর পাশে নেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন একই সঙ্গে তিনি জীবনবিমা নিগমের শেয়ার বিক্রি নিয়েও সরব হন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, এই চলতে থাকলে আগামীদিনে জীবন বিমারই আর কোনও বিমা থাকবে না। কার স্বার্থে এলআইসির মতো সংস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে তাও জানতে চান তিনি। এর প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তবু কোনও উদ্যোগ নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। আর যারা বিজেপি-তৃণমূল সেটিং নিয়ে কথা বলছে, সিবিআই সেটিং-এর কথা বলছে, তারা পরের ভোটে আরও বড় শূন্য পাবে বলেও বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ।