কানাডা থেকে নিখোঁজ পাক বিমানসেবিকা, রহস্যময় নোট উদ্ধারে চাঞ্চল্য

কিন্তু কানাডা বিমানবন্দরে অবতরণের পর থেকেই আর ওই বিমানসেবিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাকিস্তানের বিমান সংস্থার

Must read

প্রতিবেদন : কানাডায় গিয়ে আচমকাই নিখোঁজ পাক বিমানসেবিকা। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমান কানাডায় অবতরণের পর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না পাকিস্তানের বিমানসেবিকা মরিয়ম রাজাকে। তিনি আচমকা কোথায় উধাও হয়ে গেলেন তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাক প্রশাসন। ইতিমধ্যে, টরেন্টো থেকে করাচিগামী পিকে-৭৮৪ বিমানে তাঁকে দেখতে না পাওয়ায় শুরু হয়েছে তল্লাশি। রহস্যজনকভাবে আচমকা তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন-হেপাটাইটিস রোগীদের জন্য টেলিমেডিসিন

গত সোমবার ইসলামাবাদ বিমানবন্দর থেকে টরন্টোগামী বিমানে ওঠেন মরিয়ম। কিন্তু কানাডা বিমানবন্দরে অবতরণের পর থেকেই আর ওই বিমানসেবিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাকিস্তানের বিমান সংস্থার। ১৫ বছর আগে মরিয়ম পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘসময় ওই সংস্থায় কাজ করার পরও আচমকা কীভাবে তিনি গায়েব হয়ে গেলেন তা নিয়ে আশঙ্কায় পাক বিমান সংস্থা। কানাডার যে হোটেলে মরিয়ম ছিলেন সেখানে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে পাক বিমান কর্তৃপক্ষের। হোটেল রুমে দেখা যায় তাঁর একটি ইউনিফর্মে লেখা ‘Thank You PIA’। আর এরপর থেকেই আরও জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত বিমানসেবিকার খোঁজ মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। মরিয়ম ইসলামাবাদ থেকে ক্রু-মেম্বার হিসাবে কানাডায় পৌঁছলেও ফিরতি বিমানে তাঁর দেখা না মিলতেই নড়চড়ে বসে পাক বিমান সংস্থা। আর এমন ঘটনার জন্য কানাডার আইনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন পাক এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র। তিনি বলেন, চলতি বছর এই নিয়ে দুবার এমন ঘটনা ঘটল। গত জানুয়ারি মাসেই ঠিক এমন ঘটনা সামনে আসে। পাক বিমানসেবিকা ফাইজা মুখতার কানাডা বিমান বন্দরে গত জানুয়ারি মাসে অবতরণ করার পর তাঁরও খোঁজ মেলেনি। এছাড়া গত বছরই কর্তব্যরত অবস্থায় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সাত বিমানসেবিকা নিখোঁজ হয়ে যান। বারবার এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন পাক প্রশাসন। এই বিষয়ে কানাডার সঙ্গে কথাবার্তা চলাচ্ছে পাক বিমান সংস্থা।

Latest article