সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : এবার কার ঘাড়ে কোপ পড়তে চলেছে ভেবে দুশ্চিন্তা সবার শিয়রে। ৫ মে থেকে এ পর্যন্ত ৮ অধ্যাপককে শোকজ নোটিশ ধরিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবারই ওড়িয়া বিভাগের অধ্যাপক শরৎকুমার জেনা, সংগীত ভবনের অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়, রসায়ন বিভাগের বিধান বাগ এবং পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক তাপস কুণ্ডুকে শোকজ করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীতে সিসিএস বা সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস রুলের অপব্যবহার করে একের পর এক অধ্যাপক-কর্মীদের শোকজ এবং তারপর সাসপেনশনের নোটিশ পাঠিয়ে ওই রুলের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের।
আরও পড়ুন-বাদু রোডকে দখলমুক্ত করে ফুটপাথ ফেরত
তাঁদের মতে, অধ্যাপকরা কেউ ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে অধ্যাপক হননি। তাই তাঁরা সরাসরি সিভিল সার্ভেন্ট নন। দ্বিতীয়ত, যে অধ্যাপকদের টার্গেট করে শোকজ পাঠানো হয়েছে, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক আন্দোলনে সামিল হননি। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের হস্টেলের দাবিকে সমর্থন জানান গণতান্ত্রিকভাবেই। পড়াশোনার স্বার্থে হস্টেল খোলার দাবিকে সমর্থন কোনও অন্যায় হলে আদালত একই কারণে হস্টেল খোলার নির্দেশ দিত না। তাহলে কি আদালতকেও সমান অপরাধী ভাবছেন কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ড. রবিরঞ্জন ও বিচারপতি সুজিত নারায়ণ তাঁদের ২৮ পাতার রায়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপরে কোনওভাবেই সিসিএস রুল প্রয়োগ করা যাবে না। আইনের অপব্যবহার করে উপাচার্য ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করছেন, এমন অভিযোগ উঠছে।