প্রতিবেদন : জুন্টা ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আক্রমণে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরামে ঢুকে পড়ে আশ্রয় নিয়েছে মায়ানমারের বহু সেনা জওয়ান। এই অবস্থায় বিদেশি সেনাদের ফের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাল মিজোরাম সরকার।
আরও পড়ুন-রোদ উঠেছে হাসি ফুটেছে
জানা যাচ্ছে, ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনার যে সব ঘাঁটি বিদ্রোহীদের হামলায় তছনছ হয়ে গিয়েছে সেখান থেকেই এই জওয়ানরা ভারতে পালিয়ে এসেছেন। এই মুহূর্তে অসম রাইফেলসের ক্যাম্পেই প্রায় ৬০০ মায়ানমারের জওয়ান আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি আরও নানান জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছেন মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এই অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে মিজোরাম সরকার। অনুরোধ করা হয়েছে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়।
আরও পড়ুন-সংসদীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ছুঁড়ে ফেলে একনায়কতন্ত্রের দিকে পা বাড়াতে চাইছে
উল্লেখ্য, মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। ওই অভিযানের নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে-দেশের অর্ধেক এলাকা সরকারি সেনার হাতছাড়া হয়েছে। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম মায়ানমারের শান, চিন আর সাগিয়াং প্রদেশ রয়েছে এই তালিকায়। এবার লড়াই জারি রয়েছে পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইনে। যা ‘রোহিঙ্গাভূমি’ নামেও পরিচিত। বর্তমান গৃহযুদ্ধের জেরে মায়ানমারে লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। এক দশক আগে রোহিঙ্গা বিতাড়নের পর মায়ানমারের এই গৃহযুদ্ধ নতুন করে শরণার্থী সমস্যা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা।