প্রতিবেদন : কী বলা যেতে পারে একে, ফাজলামি? বাংলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্পে বরাদ্দের অঙ্ক মাত্র ১০০০ টাকা করে? হ্যাঁ, বাংলার প্রতি কেন্দ্রের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং বঞ্চনা অব্যাহত। বাজেটে রেলের বরাদ্দেও তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। দেখা যাচ্ছে, বরাদ্দের দিক থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বঞ্চিত বাংলা। গত কয়েক বছরের মতো এবারও রাজ্যের একাধিক রেলপ্রকল্পে নামমাত্র এক হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। তারকেশ্বর-মগরা, তারকেশ্বর-ফুরফুরা শরিফ, বারুইপুর-মানাপুর ভায়া খড়গপুর, লছিমপুর-বারহাট, হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জে নতুন রেল পথ বা লাইন ডাবলিংয়ের জন্য মাত্র এক হাজার টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। হাবড়া-বনগাঁ-ফেস-১ এবং মছলন্দপুর-স্বরূপনগর, সোনারপুর-ক্যানিং এবং কালিকাপুর-মিনাখাঁ ভায়া ঘটকপুর রেল পথের মডিফিকেশনের জন্যও বরাদ্দ হয়েছে এক হাজার টাকা করে। লালগোলা-মণিগ্রাম, লালগোলা-জিয়াগঞ্জ ও সাইঁথিয়া-তারাপীঠ তৃতীয় লাইনের জন্যেও বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র এক হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, গায়ের জ্বালা মেটাতে গেরুয়া কেন্দ্র কি ফাজলামি শুরু করেছে?
আরও পড়ুন-নির্মাণকর্মীদের জন্য রাজ্য সরকারের অভিনব ভাবনা, প্রতি জেলায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র, হস্টেল
একই অবস্থা কলকাতা মেট্রোরেলের একাধিক প্রকল্পে। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনের তৃতীয় প্ল্যাটফর্মের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ এক হাজার। কিছুটা ভদ্রস্থ অবস্থা দমদম-কবি সুভাষ ট্রাকের ডুয়াল ডিটেকশনে এএফটিসি-র কাজ। এর জন্য বরাদ্দ ৩০ লক্ষের কিছু বেশি। দমদম-টালিগঞ্জ গার্ড রেলের জন্য বরাদ্দ হয়েছে এক কোটি টাকা। মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ পুনর্বাসনে বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ৪ কোটি টাকা। দমদম এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া ভায়া রাজারহাট প্রকল্পে গত অর্থবর্ষে ১,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১,৭০০ কোটি টাকা। বাকি সমস্ত প্রকল্পে হয় বরাদ্দ কমেছে নয়তো নামমাত্র টাকা দেওয়া হয়েছে। বাজেটের নামে সত্যি কী অদ্ভুত প্রহসন কেন্দ্রের!