নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : মুখে যা প্রতিশ্রুতি দেন, তা রক্ষা করেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছেন। মোদিকে সরাসরি তোপ দেগে বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর কথায়, এমন কয়েকটি স্পষ্ট কারণ রয়েছে যার ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় প্রধানমন্ত্রীর কথা আর কাজে মিল নেই। কয়েকটি বিষয় তুলে ডেরেক তাঁর ট্যুইটে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তৃণমূল সাংসদের তোপ ১) পিএম কেয়ার ফান্ড অস্বচ্ছ। তা নিয়ে মুখে কুলুপ কেন্দ্রের।
আরও পড়ুন-গোবলয়ে কমছে কন্যার জন্মহার, বেটি বাঁচাও স্লোগান ব্যর্থ বিজেপি রাজ্যেই
চিনা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তহবিলের বিবরণ প্রকাশ করা হোক। ২) দেশের মানুষকে দুর্দশায় ফেলে নোটবন্দি করেছিলেন মোদি। নোটবন্দির পর ৯৯ শতাংশ টাকা ফেরত এসেছে। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে পর্যন্ত নোটবন্দি করা হয়েছিল তার উদ্দেশ্যই পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ৩) করোনার সময়ে অপরিকল্পিত লকডাউন করে প্রধানমন্ত্রী মোদি লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষকে দুর্দশার মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। ৪) কেন্দ্রীয় সরকারের বহুল প্রচারিত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে ক্যাগের রিপোর্টেই উঠে এসেছে বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগ। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, ৭.৫ লক্ষ সুবিধাভোগীর তথ্য একটিমাত্র ফোন নম্বরের সঙ্গে যুক্ত। কেন? ৫) বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিনজন গুরুত্বপূর্ণ এম রয়েছেন।
আরও পড়ুন-হাওয়াইয়ের দাবানলে পুড়ে গেল ভারতের উপহার ১৫০ বছরের বটগাছ
প্রধানমন্ত্রী (পিএম) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (এইচএম) এবং ওয়াশিং মেশিন (ডব্লুএম)। এই তিন এম-এর মাধ্যমে সরকার ভাঙার যে খেলা রাজ্যে রাজ্যে চলছে তার সর্বশেষ উদাহরণ মহারাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রীর প্রতারণার আরও এক উদাহরণ তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, অন্যায্য নির্বাচনে বিজেপি ত্রিপুরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৯৬ শতাংশ আসন জিতেছে। আর উত্তরপ্রদেশে ৪০ শতাংশ। ডেরেকের তোপ, প্রধানমন্ত্রী দিনের পর দিন সংসদ থেকে পলাতক এবং মণিপুরের ক্ষেত্রে হৃদয়হীন।