প্রতিবেদন : কৃষি আইনের প্রতিবাদে প্রায় বছরভর বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন সাতশোরও বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে৷ যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে কৃষকহত্যার ঘটনাও ঘটেছে৷ অথচ সংসদে মোদি সরকার বলল, তারা নাকি কৃষকমৃত্যুর তথ্য সম্পর্কে অবহিতই নয়! প্রসঙ্গত, দেশজোড়া প্রবল চাপের মুখে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন আলোচনা ছাড়াই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বুধবার ওই কৃষি আইন নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর কাছে একাধিক প্রশ্ন রাখেন লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, সরকার কি আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল?
আরও পড়ুন : বিজেপির ঘরেই বিক্ষোভ তিস্তার মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, করা হয়েছে হত্যা
কৃষি আইন প্রত্যাহার করার জন্য সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে? কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ফসলের সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়ে কেন্দ্র কি পদক্ষেপ নিয়েছে? তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত এক বছর ধরে বহু কৃষক আন্দোলন করছেন। গত এক বছরে আন্দোলনরত কতজন কৃষকের বিরুদ্ধে সরকার মামলা দায়ের করেছে? গত এক বছরে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলন করতে গিয়ে কত জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে? মৃত কৃষকদের পরিবারকে সরকার কি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
সৌগত রায়ের ওই প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। কৃষিমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট বলেন, গত এক বছরে আন্দোলন করতে গিয়ে কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর সরকারের কাছে নেই। তাই কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। মন্ত্রী আরও জানান, সরকার কৃষি আইন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা দূর করতে কৃষকদের সঙ্গে ১১বার বৈঠক করেছে। কিন্তু ওই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২২টি প্রধান ফসলের সহায়ক মূল্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কৃষিমন্ত্রী এদিন যেভাবে গত এক বছরে আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকশো কৃষকের মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছেন তাতে তাজ্জব রাজনৈতিক মহল৷ প্রতিবাদ জানিয়েছেন সৌগত রায়ও৷