প্রতিবেদন : পেগাসাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল মোদি সরকার। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রকে পেগাসাস ইস্যুতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু তা নির্ধারিত সময়ে জমা দেওয়া দূরের কথা, পেগাসাস ইস্যুর সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়কে এক করে দিয়ে কেন্দ্র হলফনামা দিতেই কার্যত অস্বীকার করছে।
আরও পড়ুন-এবার বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েও দমকল দফতরের অডিট, ঘোষণা সুজিত বসুর
এই পরিস্থিতিতে সোমবার পেগাসাস মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। মামলাকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার যে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়ি পেতেছে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেজন্যই ধরা পড়ার ভয়ে শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিতে চাইছে না। মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, নাগরিকের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সব তথ্য প্রকাশ্যে আসা দরকার।
আরও পড়ুন- কোভিডবিধি শিকেয় তুলে পার্টিতে হুল্লোড় কৈলাসপুত্রের
জাতীয় সুরক্ষার ছুতো তুলে আসলে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে চাইছে কেন্দ্র। দেশের নাগরিকের গোপনীয়তা রক্ষা করা সরকারের কর্তব্য। পেগাসাস স্পাইওয়্যার সম্পূর্ণ অবৈধ। সরকার যদি বলে তারা হলফনামা দিতে পারবে না, তাহলে সহজেই ধরে নেওয়া যায় পেগাসাসের ব্যবহার হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্না বলেন, জাতীয় সুরক্ষা বা প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাই না আমরা। কিন্তু গুরুতর প্রশ্ন হল, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকার লঙ্ঘন করে আইন বহির্ভূত রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারক এবং অন্যদের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে কিনা। একই কথা বলেন বিচারপতি সূর্যকান্তও। কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, হলফনামা পেশ করার জন্য সরকারকে বারবার সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন রায় ঘোষণা ছাড়া আমাদের সামনে অন্য রাস্তা খোলা নেই।