মোদি নিজেও মিমিক্রি করেছেন, বললেন কল্যাণ

হালকা চালে করা, কাউকে অসম্মান করা উদ্দেশ্য নয়: তৃণমূলনেত্রী

Must read

প্রতিবেদন : উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MP Kalyan banerjee) কিছু অঙ্গভঙ্গি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন স্বয়ং কল্যাণ। ব্যাখ্যা দিয়ে জানালেন, এই ঘটনা প্রথমবার নয়। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদ অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় ব্যঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গি করেছেন। চাইলে সেই ভিডিও প্রকাশ করতে পারি। মন্তব্য শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের।
লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ১৪১ জন সাংসদকে বহিষ্কারের ঘটনায় মঙ্গলবার সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভে শামিল হন বিরোধী সাংসদরা। সেখানেই প্রতীকী মক পার্লামেন্ট গঠন করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করে অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ ওঠে কল্যাণের বিরুদ্ধে। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। কল্যাণের আচরণের নিন্দায় সরব হয় বিজেপি। এরপর বুধবার এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ (MP Kalyan banerjee) বলেন, ‘মক পার্লামেন্ট চলছিল। আমি বলিনি যে সেটা লোকসভা নাকি রাজ্যসভা। এটা যদি উনি নিজের গায়ে মেখে নেন, তাহলে আমি অসহায়। উনি কি সত্যিই রাজ্যসভায় এরকম আচরণ করেন? এটাই আমার প্রশ্ন। কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না আমার। ধনকড় আমার সিনিয়র। উনি আমার পেশাতেই ছিলেন। উনি আইনজীবী ছিলেন। আমিও আইনজীবী। আমাদের পেশায় আমরা কারও ভাবাবেগে আঘাত করি না। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি।’
এরপর পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে কল্যাণ বলেন, ধনকড়ের যদি মনে হয় যে তাঁর নকল করা হয়েছে, তাহলে এই প্রশ্নটা আসছে যে উনি কি রাজ্যসভায় এরকম আচরণ করেন? সেইসঙ্গে কল্যাণ বলেন, আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইনি। মিমিক্রি একধরনের শিল্প। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই লোকসভায় মিমিক্রি করেছিলেন। আমি আপনাদের ভিডিয়োও দেখাতে পারি। ২০১৪-২০১৯ সালের মধ্যে উনি লোকসভায় করেছিলেন। কিন্তু প্রত্যেকেই বিষয়টা হালকা চালে নিয়েছিলেন। কেউ যদি ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিয়ে নেন, তাহলে আমি অসহায়। কল্যাণের ভিডিও নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক বিষয়ে কোনও টিপ্পনী করব না। এই নিয়ে সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন মন্তব্য করবেন। এরপরই তাঁর সংযোজন, এটা সামান্য হালকা চালে করা। কাউকে আমরা অসম্মান করি না। অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আর তা ছাড়া রাহুল গান্ধী মোবাইলে ভিডিওগ্রাফি না করলে তো কেউ জানতেও পারত না!

আরও পড়ুন- সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ অব্যাহত

Latest article