সুপ্রিম কোর্টের ইমেলেও মোদির মুখ!

সরানো হল চাপে পড়ে

Must read

নয়াদিল্লি : আত্মপ্রচার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বড়ই প্রিয়। যত না কাজ করেন, তার চেয়ে প্রচার করেন অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বহুবার উঠেছে। এবার দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র। এমনই এক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন আইনজীবীদের ইমেল পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রি থেকে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রি থেকে পাঠানো ইমেলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি।

আরও পড়ুন: আজ পর্যটক নয় দার্জিলিঙে

সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রি থেকে পাঠানো ইমেলে প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবি ব্যবহার নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের একাধিক আইনজীবী। আইনজীবীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রির এই কাজে দেশের বিচারবিভাগ ও সরকারের মধ্যে বিভাজন রেখাটি সম্পূর্ণ মুছে গিয়েছে। যা কাম্য নয়। বিভিন্ন আইনজীবীর কাছ থেকে তীব্র প্রতিবাদ আসায় তড়িঘড়ি রেজিষ্ট্রি প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে নিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রেজিষ্ট্রারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ইমেল পরিষেবার জন্য যে সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারের ভুলেই এটা হয়েছে। এনআইসিকে আইনজীবীদের পাঠানো ইমেল থেকে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবির পরিবর্তে সেখানে সুপ্রিম কোর্টের ছবি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। রেজিষ্ট্রির নির্দেশের পর যথারীতি ওই সংস্থা ছবি বদলে দিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রেজিষ্ট্রির পক্ষ থেকে পাঠানো ইমেলে মোদির ছবি দেখে এক আইনজীবী সরব হন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। আদালত কখনওই সরকারের অংশ নয়। তাই এই কাজ সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের সঙ্গে আদৌ উপযুক্ত নয়। শীর্ষ আদালতের প্রবীণ আইনজীবী চন্দ্রউদয় সিং বলেন, এই কাজ অত্যন্ত আপত্তিজনক। সরকারের মনে রাখা উচিত, সুপ্রিম কোর্ট বা দেশের অন্য আদালতগুলি তাদের সরকারি দফতর নয়। শীর্ষ আদালত-সহ কোনও আদালতকেই সরকারি প্রচারের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। দিল্লির আর এক আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টকে শুধু নিরপেক্ষ হলেই হবে না। শীর্ষ আদালত যে নিরপেক্ষ সে ব্যাপারেও উপযুক্ত প্রমাণ রাখতে হবে। বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক বিভাগ দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রাখা। অন্যদিকে সর্বোচ্চ আদালতের জেনারেল সেক্রেটারি সঞ্জীব এস কালগাঁওকর বলেন, তিনি এখনো এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

আরও পড়ুন: টিকাকরণ ভাঁওতা নিয়ে মোদিকে তোপ ডেরেকের

অন্যদিকে অ্যাডভোকেটস অন রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জোসেফ অ্যারিস্টটল বলেছেন, একাধিক আইনজীবীর কাছ থেকে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। খুব শীঘ্রই তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।

Latest article