প্রতিবেদন : কলকাতা লিগে অপরাজিত তকমা থাকল না ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। বুধবার সুপার সিক্সের মিনি ডার্বিতে কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে ১-২ গোলে হেরে যায় লাল-হলুদ। জোড়া গোল করে এদিনও মহামেডানের জয়ের নায়ক সেই ডেভিড লাললানসাঙ্গা। এবারের লিগের আবিষ্কার মণিপুরী স্ট্রাইকারের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৭। ডুরান্ড কাপ মিলিয়ে চলতি মরশুমে ডেভিডের নামের পাশে মোট ২৩ গোল। এদিন তাঁকে আটকাতে হিমশিম খেলেন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা।
লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান সব থেকে বেশি পয়েন্ট নিয়ে এদিন পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। তাই এদিনের মিনি ডার্বি ছিল লিগের খেতাবি লড়াইয়ে প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ। এই দ্বৈরথে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে লিগ জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে গেল মহামেডান। সুপার সিক্সে পরপর দুই ম্যাচ জেতায় মহামেডানের গ্রুপ পর্বের ২৯ পয়েন্টের সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও ৬ পয়েন্ট। ফলে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে ক্রমশ খেতাবের দিকে এগোচ্ছে সাদা-কালো ব্রিগেড।
আরও পড়ুন- গোল না করেও নজির রোনাল্ডোর
বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) এদিন সিনিয়র দলের কয়েকজন ফুটবলারকে খেলায়। নন্দকুমারকে প্রথম একাদশে রাখেন কোচ বিনো জর্জ। ৫ মিনিটের মাথায় ডেভিডের গোলে এগিয়ে যায় মহামেডান। ২১ মিনিটে ফের গোল ডেভিডের। মহামেডান ব্যবধান দ্বিগুণ করে। বিরতিতে তিনটি পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো। সৌভিক চক্রবর্তী নামতে লাল-হলুদ আক্রমণে ধার বাড়ে। ৫৮ মিনিটে সৌভিকের শট মহামেডান স্টপার ইর্শাদের শরীরে লাগে। রেফারি হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি দেন। নন্দকুমার পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান। এরপর স্কোরলাইন আর বদলায়নি। খেলা শেষে দু’দলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। গ্যালারিতেও উত্তেজনা ছড়ায়। তবে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। ম্যাচের নায়ক ডেভিড তাঁর গোল উৎসর্গ করলেন মাকে। মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ বললেন, ডেভিডকে এখনই জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া উচিত।