প্রতিবেদন : দুর্বল সিএফসি-কে সাত গোল দেওয়ার পর ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে আসার আশঙ্কায় ছিলেন মহামেডান কোচ মেহেরাজউদ্দিন ওয়াডু। কিন্তু নিজেদের মাঠে প্রবল সমর্থন নিয়ে মহামেডান রীতিমতো দাপটে খেলেই হারাল ময়দানের জায়ান্ট কিলার ইউনাইটেড স্পোর্টসকে (United Sports- Mohammedan)। যদিও গোলের ব্যবধান এক গোলের বেশি হয়নি। ডেভিডের গোলেই ১-০ ব্যবধানে জিতল মহামেডান (United Sports- Mohammedan)।
প্রথম ম্যাচে ডেভিড হ্যাটট্রিক করেছিলেন। তাঁর সঙ্গী স্ট্রাইকার ব্যারেটোও করেছিলেন তিন গোল। কিন্তু এদিন দুই ফরোয়ার্ডই একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমার্ধে একাই দুটি সুযোগ নষ্ট করেন ডেভিড। আর ব্যারেটো দ্বিতীয়ার্ধে অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে গোল করতে পারতেন। এদিন মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রথম থেকেই দুটো উইং ব্যবহার করে ইউনাইটেড রক্ষণে চাপ বাড়ায় মহামেডান। কিন্তু ইউনাইটেড দলের কার্যত সব ফুটবলার সাদা-কালো আক্রমণ সামাল দিতে নিজেদের বক্সে নেমে আসেন। তাতেই গোলমুখ খুলতে পারছিল না মহামেডান।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের খোঁজে মরিয়া হয়ে ওঠে মহামেডান। এরই মধ্যে মহামেডানের ডেভিডকে পিছন থেকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়ার পরেও রেফারি কেন পেনাল্টি দিলেন না বোঝা গেল না। দর্শকদের হতাশা যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই ম্যাচের ৭৫ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মিজোরামের ছেলে ডেভিড। প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল করে দলকে জেতালেন ডেভিড।
ম্যাচ শেষে মহামেডান কোচ মেহেরাজউদ্দিন বললেন, ‘‘আমরা
অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যবধান বাড়াতে পারিনি। অনেক বেশি গোলে জিততে পারতাম। তবু শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছি। এবার পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চাই।’’
আরও পড়ুন- চার গোলে জয় ডায়মন্ড হারবারের