প্রতিবেদন : টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর হোঁচট খেল মোহনবাগান (Mohun Bagan-Odisha FC)। শনিবার ওড়িশা এফসিকে হারালে পারলেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ উঠে যেতেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। কিন্তু গোলশূন্য ড্র করে ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই আটকে রইল আন্তোনিও হাবাসের দল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে একে ওড়িশা (Mohun Bagan-Odisha FC)। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম লড়াইটা হল সমানে-সমানে।
অথচ অ্যাওয়ে ম্যাচে বিরতির আগেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান (Mohun Bagan-Odisha FC)। কিন্তু দু’বারই সহজ সুযোগ নষ্ট করে দলকে ডোবালেন আর্মান্দো সাদিকু। দু’বারই বিপক্ষ গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন সাদিকু। জেসন কামিন্সের বদলে এদিন সাদিকুকে শুরু থেকেই মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন হাবাস। ২৪ মিনিটে আশিস রাইয়ের ক্রস থেকে একা ওড়িশা গোলকিপার অমরিন্দর সিংকে পেয়েও বারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন সাদিকু। ৩৪ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদের পাস থেকে ফের অমরিন্দরকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সাদিকু। কিন্তু তাঁর শট ওড়িশা গোলকিপারের পায়ে লেগে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন- বন্যপ্রাণীর আক্রমণে নিহতের পরিবারের একজনকে চাকরি
অন্যদিকে, হোম ম্যাচ হলেও ওড়িশা শুরু করেছিল সতর্কভাবে। সবুজ-মেরুনের দুই সেরা অস্ত্র দিমিত্রি ও জনি কাউকোকে কড়া ম্যান মার্কিংয়ে রেখেছিলেন ওড়িশা কোচ সের্জিও লোবেরা। প্রথমার্ধে ওড়িশার সামনে গোল করার মতো সুযোগ এসেছিল একবারই। কিন্তু দিয়েগো মরিসিও জোরালো শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তার আগে একবার আনোয়ার আলি ও বিশাল কেইথের ভুল বোঝাবুঝিতে প্রায় গোল হজম করে বসেছিল মোহনবাগান। তবে শেষ মুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন কেইথ।
বিরতির পর দাপট দেখিয়েছে ওড়িশা। একটু রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে মোহনবাগানও। হাবাসের দলকে দেখে মনে হয়েছে, প্রতি আক্রমণে বাজিমাত করতে চায়। কিন্তু মিস পাসের জন্য বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন দিমিত্রিরা। এই সময় ওড়িশার ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার মরিসিও বার দুয়েক মোহনবাগান রক্ষণকে কড়া পরীক্ষার মুখে ফেললেও, কাজের কাজ করতে পারেননি। বরং ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামা কামিন্সের হেড কোনও রকমে রক্ষা করেন অমরিন্দর। এই গোলটা হলে, তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত মোহনবাগান।