প্রতিবেদনঃ গ্রুপ শীর্ষে থেকে এএফসি কাপের নকআউটে পৌঁছে যাওয়ার পর খোশমেজাজে এটিকে মোহনবাগানের কোচ-ফুটবলাররা। আপাতত দু’সপ্তাহের ছুটি। বুধবার সকালেই মালদ্বীপ থেকে দেশের বিমান ধরলেন রয় কৃষ্ণ, হুগো বোউমাসরা। কোচ হাবাসও ফিরলেন দেশে।
আরও পড়ুন : আশনি সংকেত, কাশ্মীরকে নিয়ে তালিবানি সাহায্যের ইঙ্গিত পাকিস্তানের
মনবীর, প্রীতম-সহ ৭ জন ভারতীয় ফুটবলার কলকাতায় জাতীয় শিবিরে যোগ দেবেন। ভারতীয় দলের ফুটবলাররা বুধবার রাতেই ফিরলেন শহরে। সপ্তাহ দু’য়েক ছুটি কাটিয়ে ফের কলকাতায় শুরু হবে সবুজ মেরুনের নকআউট প্রস্তুতি। ২২ সেপ্টেম্বর এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের প্লে-অফে খেলবে হাবাসের দল। প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান অথবা তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব। পরের রাউন্ডের ম্যাচের জন্য নতুন দল রেজিস্ট্রেশন করাবে এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকো, তিরি-সহ আরও কিছু ফুটবলার নকআউটের ম্যাচের জন্য স্কোয়াডে থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন : মহিলাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল কন্যাশ্রী প্রকল্পের ছাত্রীরা
ম্যাচের সাত দিন আগে দল নথিভুক্ত করাতে হবে এএফসি-তে। গ্রুপ পর্বে দলের পারফরম্যান্সে খুশি কৃষ্ণ, মনবীরদের কোচ। মঙ্গলবার বসুন্ধরার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ মাঝমাঠের প্রধান ফুটবলার হুগো বোউমাসকে ছাড়াই খেলতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও কঠিন ম্যাচ ড্র রেখেছে সবুজ মেরুন। ম্যাচের পর হাবাস বলেছেন, ‘‘এটা কঠিন ম্যাচ হবে জানতাম। তা সত্ত্বেও যদি পুরো ৯০ মিনিটের খেলা ধরা হয়, তাহলে আমরা অনেক ভাল খেলেছি। ম্যাচে প্রাধান্য ছিল আমাদেরই। আরও গোল হতে পারত। আমার হাতে যে রিজার্ভ বেঞ্চ ছিল সেখানে প্রায় সবাই তরুণ। ফলে পরিবর্তনের সুযোগ ছিল কম। তার উপর আমরা একজন কম বিদেশি নিয়ে খেলেছি। তা সত্ত্বেও পেশাদারি মনোভাব নিয়ে ছেলেরা যা খেলেছে তাতে আমি গর্বিত’’।
ফুটবলাররাও তৃপ্ত এএফসি কাপে নিজেদের পারফরম্যান্সে। শুভাশিস, মনবীররা মনে করছেন, মালদ্বীপে প্রতিকূল পরিবেশে খেলতে হয়েছে। বসুন্ধরার বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচটা খেলতে হয়েছে দুপুরের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে। তবু দলের সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। নকআউটে আরও ভাল ফুটবল উপহার দেবে দল।