প্রতিবেদন : চলতি মরশুমে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মোহনবাগান টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারের মুখ দেখল। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মঙ্গলবার মোহনবাগান খেলতে নেমেছিল ঢাকার মাঠে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষের ডেরায় এগিয়ে থেকেও ১-২ গোলে হারল জুয়ান ফেরান্দোর দল।
আরও পড়ুন-হোটেল-রিসর্টের পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগী পঞ্চায়েত
চোটের কারণে দিমিত্রি পেত্রাতোসের না থাকাটাই পার্থক্য গড়ে দিল। দিমিত্রির অভাব ঢাকতে পারল না মোহনবাগান। গ্রুপ শীর্ষে থেকে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল সবুজ-মেরুন। কিন্তু ম্যাচ হেরে পরের রাউন্ডে ওঠার লড়াইয়ে প্রবল চাপে পড়ে গেল দল। চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বসুন্ধরার সঙ্গেই শীর্ষস্থানে রয়েছে মোহনবাগান। ওড়িশাও এদিন মাজিয়া স্পোর্টস ক্লাবকে হারিয়েছে। ফলে তিনটি দলেরই দু’টি করে ম্যাচ বাকি। গ্রুপ থেকে একটি দলই যাবে পরের রাউন্ডে।
আরও পড়ুন-বারাসত যেন হ্যারি পটারের জাদুনগরী
গোলের মধ্যে থাকা সবুজ-মেরুনের অস্ট্রেলীয় উইঙ্গার দিমিত্রি সোমবার বসুন্ধরার খারাপ মাঠে অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পান। তাঁকে এদিন খেলাতে পারেননি কোচ জুয়ান। তাঁর অভাব ঢেকে দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করার পাশাপাশি দলের একটি গোল হজমের পিছনেও কামিন্সের ভুল বড় হয়ে দাঁড়ায়। অথচ দাপটেই শুরু করেছিল মোহনবাগান। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই লিস্টন কোলাসোর অনবদ্য গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। প্রথমার্ধের শেষের দিকে সমতা ফেরায় বসু্ন্ধরা। বিরতির ঠিক আগে ৪৪ মিনিটে মিগুয়েল ফিগুয়েরার বিশ্বমানের একটি গোল ম্যাচে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবকে। আইভোরি কোস্টের ফুটবলার দিদিয়েরের দারুণ একটি পাস বক্সের বাইরে ধরে একটি টার্নে বাঁ-পায়ের অনবদ্য শটে গোল মিগুয়েলের।
আরও পড়ুন-বিজেপির জনধন দুর্নীতি, ভুয়ো ১০ কোটি অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার কোটি
প্রথমার্ধে ১-১ স্কোরলাইন। দ্বিতীয়ার্ধে দাপুটে ফুটবল বসুন্ধরা কিংসের। ঘরের মাঠে প্রবল গ্যালারির সমর্থনে বাড়তি তাগিদ ছিল বসুন্ধরার। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায় ঢাকার কিংস এরিনায়। সৌজন্যে রোবিনহোর গোল। গ্যালারিতে জ্বলল রংমশাল, মাঠে উৎসব। মোহনবাগানে শুধুই হতাশা। শেষ মুহূর্তে অনিরুদ্ধ থাপার জায়গায় আশিস রাইকে নামান জুয়ান। ভুবনেশ্বরে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচে গোল করেছিলেন আশিস। এদিন অবশ্য স্কোরলাইনে আর কোনও বদল হয়নি। অন্তত দু’টি ক্ষেত্রে বসুন্ধরার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান গোলকিপার শ্রাবণ।
আরও পড়ুন-থাইরয়েড ক্যানসার
দু’বারই জেসন কামিন্সের শট আটকে দেন তিনি। প্রথমে ২৮ মিনিটের মাথায় কামিন্সের ভলি বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান তিনি। পরে খুব কাছ থেকে অস্ট্রেলীয় তারকার আর একটি শট আটকে দেন। দিমিত্রির অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ কামিন্স। বসুন্ধরার মাঠ নিয়ে চিন্তা ছিল মোহনবাগান কোচের। খারাপ মাঠে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি দল, ম্যাচ শেষে অভিযোগ সবুজ-মেরুন কোচের। তবে এদিন জুয়ানের দলের মাঝমাঠ, রক্ষণও চূড়ান্ত ব্যর্থ।