প্রতিবেদন : পুজোর সময় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কোনও ম্যাচ চান না ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ক্রীড়ামন্ত্রক ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে দুই প্রধানকে। ফলে ২৮ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর দিনের আইএসএল ডার্বি-সহ আরও দু’টি ম্যাচ আয়োজন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ডার্বি ও মহাসপ্তমিতে (২১ অক্টোবর) ইস্টবেঙ্গল-এফসি গোয়া ম্যাচের নতুন দিনক্ষণ জানাতে হবে এফএসডিএল-কে। কিন্তু বিজয়া দশমীর দিন (২৪ অক্টোবর) বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের এএফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিনক্ষণ সম্ভবত বদলাচ্ছে না। তাই বিকল্প ভাবনা সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্টের।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দু’টি বিকল্প ঠিক করে রেখেছে ক্লাব। পুলিশি নিরাপত্তা যখন পাওয়াই যাবে না তখন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে এএফসি কাপে গ্রুপ পর্বের হোম ম্যাচটা খেলে নিতে পারে ক্লাব। দ্বিতীয় বিকল্প হল, যুবভারতীর পরিবর্তে ম্যাচটা নিরপেক্ষ ভেনুতে নিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে মোহনবাগানের পছন্দ ওড়িশা অথবা জামশেদপুর। এর আগে ২৪ অক্টোবরের হোম ম্যাচটা বাংলাদেশে গিয়ে বসুন্ধরার মাঠে খেলে নিতে চেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু তাতে সম্মতি দেয়নি বসুন্ধরা। তাই এখন নতুন করে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে সবুজ-মেরুনকে।
আরও পড়ুন-আলতা পায়ের আলতো ছোঁয়া
এদিকে, আশিক কুরুনিয়নের চোটের পরিস্থিতি সঠিকভাবে জানতে তাঁকে মুম্বইয়ে বিশিষ্ট শল্যচিকিৎসক অনন্ত যোশির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরামর্শ মেনেই এগোবে ক্লাব। তবে আশিক গোটা মরশুমের জন্য ছিটকে গেলে বড় ধাক্কা খাবে মোহনবাগান। এএফসি কাপে ১৯ সেপ্টেম্বরের ওড়িশা ম্যাচ এবং আইএসএলের জন্য কোচ জুয়ান ফেরান্দোর তত্ত্বাবধানে জোর প্রস্তুতি চলছে মোহনবাগানে। পাশাপাশি রবিবার কলকাতা লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে দল প্রতিপক্ষ ডায়মন্ড হারবার। নৈহাটি স্টেডিয়ামে ম্যাচ। জুয়ানের সহকারী বাস্তব রায়ের প্রশিক্ষণে সুপার সিক্স নিশ্চিত করার ম্যাচ কিয়ান নাসিরিদের।