প্রতিবেদন : ঔদ্ধত্য ও কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ-বিক্ষোভে উত্তাল বসিরহাট। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে কোনওমতে পালিয়ে বাঁচলেন রেখা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। উত্তেজিত জনতার হাতে আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারও। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠায় গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের খড়িডাঙা গ্রামে। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকার ছেলেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে পরিকল্পিত চক্রান্ত করে বিজেপি এই ঘৃণ্য ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ সন্দেশখালি-সহ গোটা বসিরহাটের মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, যিনি প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন সেই তিনিই এদিন মহিলাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও বহিরাগতদের এলাকায় ঢুকিয়ে গ্রামের মহিলাদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটালেন কী করে? এই ঘটনার জেরে সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন-শাহকে তিন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
মঙ্গলবার খড়িডাঙ্গা গ্রামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এসে এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে ও এলাকার তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তখন এলাকার মহিলারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁরা শান্ত ভাষায় রেখাকে সংযত হতে ও কটু মন্তব্য করতে বারণ করেন। এলাকার মানুষেরা প্রতিবাদ করায় তাঁর ঔদ্ধত্যের সুর ও শরীরী ভাষা আরও চড়াও হয়। আঙুল তুলে গ্রামের মহিলাদের শাসাতে থাকেন। তাতেই খেপে গিয়ে রেখা পাত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মানুষেরা। বিক্ষোভ চলাকালীন এক মহিলার কাপড় ছিঁড়ে দেয় রেখা পাত্রের সঙ্গে থাকা এক বিজেপি কর্মী। এতেই ঘৃতাহুতি হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। তারপর এলাকার বাসিন্দারা রেখা পাত্রকে ঘিরে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এমনকী রেখা পাত্রের সঙ্গে থাকা বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারকেও লাঠিপেটা করেন এলাকার ক্ষিপ্ত মহিলারা। এই পরিস্থিতি দেখে রেখা পাত্রের নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত তাঁকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তখন এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রেখা পাত্রের গাড়ির দিকে ছুটে যায় এবং তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। এরপর রেখা পাত্রের সঙ্গে থাকা অন্যান্য গাড়িগুলোকেও কাঠের গুঁড়ি ফেলে আটকে দেয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় খড়িডাঙ্গার মাঝেরপাড়া এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে মাটিয়া থানার পুলিশ।