নয়াদিল্লি : চলতি বছরে বর্ষা এ পর্যন্ত দেশের ৮০ শতাংশ এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের বিজ্ঞানী ডঃ নরেশ কুমার দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর অবস্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রবিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে মৌসুমি বায়ু দ্রুত দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছেছে। ৬২ বছর পর রবিবার একই দিনে দিল্লি ও মুম্বইতে বর্ষা এসে পৌঁছেছে। তবে এই ঘটনাকে সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। কারণ বিষয়টি নির্ধারণ করতে ৩০ থেকে ৪০ বছরের তথ্য লাগে। তাঁর দাবি, চলতি বছরে নতুন প্যাটার্নে দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ষা পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় পঞ্চায়েতের প্রচারে অভূতপূর্ব সাড়া
কুমার বলেছেন, অসমের উপর থেকে মেঘ সরে গিয়েছে। সেখানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। তবে রুদ্রপ্রয়াগ এবং উত্তরাখণ্ডের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। এ রাজ্যে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ১৫ জন। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় ধস নামায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন। প্রবল বৃষ্টি চলছে উত্তরাখণ্ড ও সিকিমে। তবে অসমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি-শাসিত মহারাষ্ট্রে গণপিটুনিতে খুন মুসলিম যুবক
রবিবারই মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাজস্থান ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশে ২৮ জুন পর্যন্ত ভারী ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। যে কারণে মধ্যপ্রদেশের তিন জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি ওড়িশা, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কেরল, মেঘালয় এবং অসমের একাধিক জেলায় হলুদ ও কমলা সর্তকতা জারি করেছে। অসম ও মেঘালয়ে ২৮ ও ২৯ জুন ভারী মাপের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অরুণাচলে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে ২৯ জুন। আগামী পাঁচ দিন গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারী ধরনের বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি আগামী পাঁচ দিন মহারাষ্ট্রের বিধর্ভ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী ধরনের বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। কোঙ্কন উপকূল ও গোয়ায় ২৫ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত এবং গুজরাতে ২৯ জুন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।