জ্যোৎস্না রাতে অমৃতসুধার সন্ধানে

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: ডুয়ার্সের পর্যটনে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে মুনলিট টি (Moonlit Tea) প্ল্যাকিং। ডুয়ার্সের চা-বাগানে চা-গাছের সবুজ গালিচা দেখে দৃষ্টিসুখ পায়নি এমন পর্যটক ও মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ডুয়ার্সের চা-বাগানের সবুজ স্নিগ্ধতা সকলের মনকে ছুঁয়ে যায়, যার কারণে ডুয়ার্সের জঙ্গল দেখবার পাশাপাশি চা বাগানও পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের। পর্যটকদের পাশাপাশি এবার চা-প্রেমীদের হৃদয়কে ছুঁতে ডুয়ার্সের মাঝের ডাবরি চা-বাগানে তৈরি হল মুনলিট টি। এক বিশেষ সুগন্ধ ও স্বাদ নিয়ে ফের একবার বাজার মাতাতে আসছে ‘মুনলিট টি’। দোলপূর্ণিমার রাতে, পূর্ণ চাঁদের রুপোলি আলোয় দুটি পাতা একটি কুঁড়ি সংগ্রহের করে তৈরি হচ্ছে এই মুনলিট টি। ডুয়ার্সে এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর ওই ধরনের চা-পাতা তোলার কাজ শুরু করেছে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। যার পোশাকি নাম ‘মুনলিট টি প্ল্যাকিং’। তাদের নিজেদের কারখানায় ওই বিশেষ দিনে তোলা কাঁচা চা-পাতা দিয়ে যে চা তৈরি হবে, চায়ের বাজারে তার নাম হবে ‘মুনলিট টি’ (Moonlit Tea)। যা স্বাদে-গন্ধে টেক্কা দেবে অন্যান্য সমস্ত চাকে। আর এই পুরো প্রক্রিয়া উপভোগ করতে হাজির ছিলেন বহু পর্যটকও। এ প্রসঙ্গে মাঝের ডাবরি চা-বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানান, ডুয়ার্সে শুধু আমরাই এই মুনলিট টি প্ল্যাকিং করেছি, যদি অন্যান্য চা-বাগানগুলো এগিয়ে আসে তবে চায়ের উৎপাদনের পাশাপাশি চা-নির্ভর পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ণ চাঁদের আলোয় তোলা চা-পাতায় এক অদ্ভুত ধরনের অ্যারোমা তৈরি হয় প্রাকৃতিক উপায়েই। কারখানায় প্রস্তুতির পর ওই অ্যারোমা এক অনন্য মাত্রা এনে দেয় চায়ে। এখন থেকে বছরের প্রতি পূর্ণিমার রাতে কাঁচা চা-পাতা তুলে তা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই চা-বাগান। তবে সাধারণ যে কোনও চায়ের থেকে মুনলিট টির দাম অনেকটাই বেশি হবে। চাঁদের আলোর পাশাপাশি পাতা তুলতে ও বন্যজন্তুদের হাত থেকে বাঁচতে জ্বলন্ত মশালও ছিল চা-শ্রমিকদের সঙ্গে। তারই সঙ্গে শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ টর্চ লাইট। তাতে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমানতাও অনেকটাই বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে বিড়ি শ্রমিকদের শীঘ্রই বাড়বে পারিশ্রমিক

Latest article