নয়াদিল্লি : বিরাট অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক মাপকাঠিতে চোখধাঁধানো অগ্রগতি, নারীদের রেকর্ড ক্ষমতায়ন ইত্যাদি নিয়ে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি ঢাক পিটিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবচিত্র বলছে মোদির জমানায় ভারত সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ নয়, বরং কেন্দ্রের রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। লিঙ্গ বৈষম্যের (Gender Inequality) মারাত্মক তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষায়। ডিজিটাল ইন্ডিয়া স্লোগান তোলা মোদির ভারতে সবার হাতে মোবাইল থাকতেই হবে, এমন একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে। অথচ সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর বৈষম্য (Gender Inequality)। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মোবাইল ফোনের মালিকানা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারতে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বহু যোজন পিছিয়ে। সমীক্ষা বলছে, ভারতের মাত্র ৫৪ শতাংশ মহিলা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। অথচ জাতীয় গড় ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯৩ জনের মোবাইল ফোন রয়েছে। মোবাইলের মালিকানা মেয়েদের সামাজিক অবস্থান, পরিবারে তাঁদের জায়গা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পরিচায়ক। এই সমীক্ষায় রিপোর্ট থেকে এটাই স্পষ্ট যে নরেন্দ্র মোদির ভারতে ভাল নেই মেয়েরা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে। বুলডোজার মামার রাজ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ মহিলার মোবাইল ফোন রয়েছে। মোদির নিজের রাজ্য গুজরাতের হালও শোচনীয়। সেখানে মাত্র ৪৮.৮০ শতাংশ মহিলা মোবাইল ব্যবহার করেন। যোগীরাজ্যেও মেয়েদের পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। এই সমীক্ষা ডিজিটাল জগতে লিঙ্গ বৈষম্যের অন্ধকার চিত্র দেখালেও এতে আশ্চর্য নন সমাজবিদরা।