প্রতিবেদন : শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওড়ার পাঁচলা থেকে গাড়িতে নগদ ৪৯ লক্ষ টাকা-সহ হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের তল্লাশিতে ধরা পড়ে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার সিআইডির হাতে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। মূল প্রশ্ন হল, উদ্ধার হওয়া ৪৯ লক্ষ টাকা ওই তিন বিধায়কের কাছে এল কীভাবে। টাকা নিয়ে ধৃতরা যা বলছে তাতে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ। এবার তদন্তে নেমে সিআইডির ধারণা ওই বিপুল অঙ্কের টাকার হাতবদল হয়েছিল কলকাতাতেই। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের এক বিধায়কের অভিযোগ, সরকার ভাঙার জন্যই বিধায়কদের ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল। টাকার সূত্র খুঁজতে গিয়ে আরও কিছু তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
আরও পড়ুন-হলদিয়ার টাটা স্টিলে জয়ী আইএনটিটিইউসি
সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে ঝাড়খণ্ডের ওই তিন বিধায়ক কলকাতায় এসে মধ্য কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেলে তাঁদের সঙ্গী ছিলেন আরও একজন। কিন্তু হোটেলে তাঁরা চেক ইন করেননি বলেই জানা যাচ্ছে। ভিআইপি অতিথি হিসেবে তাঁরা হোটেলে আসেন। হোটেলের ১০৬ নম্বর ঘরে কিছুক্ষণ সময় কাটান তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের হোটেলে ঢুকিয়ে দিয়ে ওই সঙ্গী হোটেল ছাড়েন। একটু পরে তিনি একটি ব্যাগ নিয়ে ফিরে আসেন। এখন প্রশ্ন হল কী ছিল ওই ব্যাগে? তদন্তকারীদের অনুমান ওই ব্যাগেই এসেছিল উদ্ধার হওয়া টাকা।
আরও পড়ুন-মৎস্যজীবীদের পাশে সরকার
সিআইডির দাবি, ১০৬ নম্বর রুমে তাঁরা সাকুল্যে কয়েক মিনিট ছিলেন। সিআইডির দাবি, ওই সঙ্গী হোটেল ছাড়ার পর বিধায়করা হোটেল লাগোয়া একটি পানশালায় বসেছিলেন। একটু পরে ব্যাগ নিয়ে তাঁদের ওই সঙ্গী ফিরে আসেন। তারপরই বিকেলে তাঁরা সবাই গাড়ি নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই হোটেলেও যান সিআইডি কর্তারা। সেখানে গিয়ে ওই ঘরে তল্লাশি চালান তাঁরা। যাওয়ার সময় হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি, ওই তিন বিধায়কের সঙ্গীই টাকা এনেছিলেন। কিন্তু কোথা থেকে তিনি ওই টাকা পেলেন, কে তাঁকে টাকা দিল— সবটাই এখনও অন্ধকারে। গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস।