প্রতিবেদন : রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে (Ukraine- USA) আরও অস্ত্র সাহায্য করতে রাজি আমেরিকা। আনুষ্ঠানিকভাবে এই অস্ত্র সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যদিও কিছুদিন আগেও হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছিল, অনির্দিষ্টকালের জন্য কিয়েভকে অস্ত্র সাহায্য করা আমেরিকার পক্ষে সম্ভব নয়। ইউক্রেনকে সাহায্য করতে গিয়ে আর্থিক সংকট তৈরি হচ্ছে আমেরিকার। তারপরেও ফের ইউক্রেনকে (Ukraine- USA) সামরিক সাহায্যের পথেই হাঁটল আমেরিকা।
রয়টার্স সূত্রে খবর, বুধবার ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, যুদ্ধের আবহে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য করা হবে ইউক্রেনকে। এই প্যাকেজে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, উচ্চ গতিশীল আর্টিলারি রকেট সিস্টেম, গোলাবারুদ-সহ বিভিন্ন অস্ত্রশ্রস্ত্র রয়েছে। থাকছে প্রায় দেড় কোটি গোলাগুলিও। চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের জন্য প্রায় একশো কোটি ডলারের সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব। এদিকে ইউক্রেনকে লাগাতার সাহায্যের জেরে ঘাটতি শুরু হয়েছে আমেরিকার রাজকোষে। মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেশ। এই অবস্থায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থসাহায্য বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করছেন সে-দেশের বহু জনপ্রতিনিধি। সম্প্রতি রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলা হয়েছিল, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে আমেরিকার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে সমর্থন কমে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই কিয়েভের জন্য এটা সতর্কবার্তা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের সবথেকে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪১ শতাংশ মনে করেন, আমেরিকার উচিত ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা। ৩৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং বাকিরা উত্তর দেননি। ফলে নানা টালবাহানার মাঝেই বছর শেষে ‘বন্ধু’ ইউক্রেনের দিকে ফের সাহায্যের হাত বাড়াল বাইডেন প্রশাসন।
আরও পড়ুন- ভারতের মাটিতে অস্ত্র বানাবে রাশিয়া, ঘোষণা রুশ বিদেশমন্ত্রীর