প্রতিবেদন : ইজরায়েল-হামাসের (Israel-Hamas War) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্ববাসীর। গত এক সপ্তাহের যুদ্ধে ইজরায়েলে কমপক্ষে ১৩০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েলের পাল্টা এয়ারস্ট্রাইকে গাজায় ১৫৩০ জনেরও বেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তবে ইজরায়েলের দাবি, ১৫০০-এরও বেশি হামাস জঙ্গিকে এখনও পর্যন্ত নিকেশ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধের পর ইজরায়েলের মাটিতে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ। হামাস (Israel-Hamas War) বাহিনীর এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মোসাদের বিশ্বজোড়া সুখ্যাতি থাকলেও কীভাবে হামাসের পরিকল্পনার কোনও আঁচ তারা পেল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। ক্ষমতা, শক্তি আর প্রযুক্তিতে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বিশ্বের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অন্যতম। সংস্থায় প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি কর্মী বিশ্বের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। গোয়েন্দাদের কর্মপদ্ধতিও তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। শুধুমাত্র ইজরায়েল নয়, ইহুদিদের স্বার্থ রক্ষায় দেশে দেশে রয়েছে মোসাদের শাখা অফিস। বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও এই গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেন। গোয়েন্দা প্রযুক্তিতেও মোসাদ বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান। গোয়েন্দা নজরদারির দারুণ সব প্রযুক্তি বিশ্বের কাছে বিক্রি করে মোসাদ। সেই মোসাদই হামাসের এই আকস্মিক বিধ্বংসী হামলা রুখতে পুরো ব্যর্থ হয়েছে। সেদেশের সরকারের শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ, এই হামলার পরিকল্পনা হামাস অনেকদিন ধরেই করছিল, তারপরও মোসাদ সেটি কেন জানতে পারেনি? অথচ প্রতিবেশী কোনও রাষ্ট্র যাতে ইজরায়েলের উপর আক্রমণ শানাতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখার কথা মোসাদের। আর সে-কারণেই গুপ্তচর সংস্থার জন্য প্রতিবছরই ৩০০ কোটি ডলার খরচ করে ইজরায়েল সরকার। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, হামাসকে ধ্বংস করে আমরাই জয়ী হব। তবে এর জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে। জন্মভূমির জন্য সিংহের মতো লড়াই করছি। হামাসের হামলার ঘটনা কখনওই ভুলব না। তাদের ওপর এমন হামলা চালাব, যা তারা কখনওই ভাবতে পারেনি। যদিও এই হুঁশিয়ারিতেও চাপা থাকছে না গোয়েন্দা ব্যর্থতার অপ্রিয় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম ধাক্কায় রাজ্যপাল আরও নমনীয়, ৭১ বন্দিমুক্তি