প্রতিবেদন : এই মুহূর্তে গোটা দেশে অনাদায়ী করের পরিমাণ ৩৮ লক্ষ কোটি টাকা। প্রশ্ন হল, কারা এই বিপুল পরিমাণ কর বাকি রেখেছে? কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নিয়েছে, বকেয়া অনাদায়ী করের অর্ধেকেরও বেশি কর্পোরেট সংস্থা ও ধনীদের। এই মুহূর্তে ধনীদের অনাদায়ী আয়করের পরিমাণ ১৯ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। আইনি সমস্যা, প্রকৃত কর নির্ধারণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে গরমিল, হিসেবে গরমিল, রাতারাতি বিভিন্ন সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া, সর্বোপরি জেনেবুঝে কর ফাঁকি দেওয়ার মতো একাধিক কারণে কর্পোরেট সংস্থা ও ধনীদের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা অনাদায়ী হয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন-ছবি ভাইরাল, বাইকেই প্রেম ও বিয়ে
সবচেয়ে বড় কথা, গুজরাত, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের মতো ডবল ইঞ্জিন রাজ্যেই কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিপুল পরিমাণ করের টাকা অনাদায়ী থাকায় সরকারের কোষাগরেও টান পড়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ। বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী করের বিষয়টি নিয়ে শেষ মুহূর্তে নড়েচড়ে বসেছে আয়কর দফতর। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রীয় সংস্থা অনাদায়ী করের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ উদ্ধারের জন্য বিশেষ লক্ষ্য নিয়েছে।
আরও পড়ুন-গরিবের রেশন নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু
ডিসেম্বর মাসেই অনাদায়ী করের বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন অর্থমন্ত্রক, সিবিডিটি এবং আয়কর বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, আগামী অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই অন্তত সাত লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার করতে হবে। প্রতিবছর যে পরিমাণ কর অনাদায়ী থাকছে তার ১০ শতাংশও উদ্ধার করতে পারছে না মোদির অর্থমন্ত্রক। এ কারণেই অনাদায়ী করের পরিমাণ ক্রমশই বেড়ে চলেছে।