প্রতিবেদন : সংসার করা হয়নি। কিন্তু শাশুড়িকে ভালবাসতেন। শাশুড়িও। যোগাযোগ ছিল। তাই শেষবার দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর ভোরে উঠে দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। কেন? কারণ সেই যশোদাবেন। না, নিরাপত্তার জন্য নয়। মোদির নির্দেশে তাঁর বাড়িতে পুলিশ। হাউজ অ্যারেস্ট হয়েই থাকতে হল তাঁকে। তিনি যেন বাড়ির বাইরে পা না ফেলতে পারেন। ক্যামেরার সামনে যশোদাবেনের উপস্থিতি যাতে প্রধানমন্ত্রীকে অস্বস্তিতে ফেলতে না পারে তার জন্য গুজরাত পুলিশ পুরো ফৌজ পাঠিয়ে দিয়েছে ছাপোষা বাড়িতে। একেই বলে ইমেজ বিল্ডার।
আরও পড়ুন-রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে রদবদল, এডিজি পদে মনোজ বর্মা
৩০ ডিসেম্বর ভোররাতে প্রয়াত হন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন। সমস্ত কর্মসূচি বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী ফেরেন আমেদাবাদে। সকাল ১০টায় গান্ধীনগরে হীরাবেনের শেষকৃত্য হয়। শেষকৃত্যে দেখা যায়নি যসোদাবেনকে। প্রশ্ন ছিল। গুঞ্জন ছিল। এক সপ্তাহ বাদে মুখ খুললেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ভাই অশোক মোদি। কান্নায় ভেঙে পড়ে যশোদাবেন বলেন, স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব থাকলেও শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। অসুস্থ থাকাকালীন প্রায় খোঁজখবর নিতাম।
আরও পড়ুন-কানপুরে শৈত্যপ্রবাহ, ঠান্ডার জেরে একদিনে মৃত ২৫
ভাইপো-ভাইজিদের নিয়ে ভাই অশোক মোদি গান্ধীনগর যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু বাড়ির বাইরে বেরোতেই পুলিশি ঘেরাটোপে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, গান্ধীনগর তো দূরের কথা, বাড়ির বাইরে পা রাখা যাবে না। পুলিশের এক আধিকারিক জানায়, উপরমহল থেকে নির্দেশ। তাই আপনার বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ। যতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে ছিলেন, ততক্ষণ যশোদাবেনের বাড়িরে বাইরে ছিল পুলিশি টহল। এনিয়ে রাজনৈতি মহলে ঝড়। নির্বাচনী হলফনামায় যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও তাঁকে কেন শাশুড়ির শেষকৃত্যে যেতে দেওয়া হল না তার জবাব দিতে পারবেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।