দেবর্ষি মজুমদার, রামপুরহাট: নবমীতিথিতে মা তারা জগদ্ধাত্রী রূপে পূজিতা হন। এই উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে, আশা করছেন তারাপীঠে মা তারার সেবায়েত থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বুধবার সকালে শীতলীর পর দুপুরে পঞ্চব্যাঞ্জন-সহ বলির মাংস, শোলমাছ পোড়া, চাটনি পায়েস দিয়ে অন্নভোগ দেওয়া হয়। প্রতিমা ডাকের সাজে সাজিয়ে সন্ধ্যায় দেবী তারাকে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন-প্রসূতির রহস্যমৃত্যু
চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী, একইদিনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজো হয়। বছরের এই একটা দিনেই বাজনা সহযোগে তারাপীঠে আরতি হয়। তারাপীঠে কোনও দেবীমূর্তি পুজোর চল নেই। বহু যুগ ধরে তারা মাকে কালী, দুর্গা, সরস্বতী, জগদ্ধাত্রী রূপে আরাধনা করা হয় বলে জানান সেবায়েত প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ভোরে মায়ের স্নান ও মঙ্গলারতির পর ভক্তদের জন্য গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়। সারাদিন দেবী তারা রূপে পূজিতা হন। সন্ধ্যায় প্রতিমাকে ডাকের সাজে সাজিয়ে দেবী জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো নিবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন-কাশের বালিশ মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা রূপায়ণের পথে
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, এখানে মৃন্ময়ী মূর্তি গড়ে পুজোর চল নেই। এদিন দেবী তারাকে জগদ্ধাত্রী রূপে বিশেষ পুজো করা হয়। দুবার অন্নভোগ হয়। পোলাও, খিচুড়ি, বলির পাঁঠার মাংস, শোলমাছ, মিষ্টি ও পায়েস দেওয়া হয়।