সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : অপত্যস্নেহে মৃত শাবককে আগলে রেখে ইতিমধ্যেই খবরে হাতি-মা। সন্তানের প্রাণহীন দেহ ৬ কিলোমিটার রাস্তা শুঁড়ে করে বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। কাউকে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। নিজেই মাটি খুঁড়ে শাবককে সমাধিস্থ করেছে। তারপর শনিবারও সন্তানের দেহের পাশে বসে রয়েছে মা হাতিটি। তার চোখ থেকে ক্রমাগত জল পড়ছে। মা হাতিটিকে ঘিরে রয়েছে হাতির পাল। রাতে দলের বাকি সদস্যরা খাবার সংগ্রহে বেরোলেও ভোর হতেই ফের ওই জায়গায় ফিরে এসেছে।
আরও বলুন-রোয়িং নিয়ে নির্দেশিকা
শনিবারও বনকর্মীরা কাছে ঘেঁষতে পারেননি। ড্রোন উড়িয়ে দলটির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এদিনও সকাল থেকে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। সাধারণত হাতির দলের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে তারা তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে দু-তিনবার সেই জায়গায় এসে শোক পালন করে। এটা ওদের স্বাভাবিক জীবনরীতি। কিন্তু এইভাবে দেহ আগলে বসে থাকা একেবারেই অস্বাভাবিক। শনিবারে ঘটনাস্থলে যান অনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরি। সারাদিন ছিলেন। বনকর্মীদের সঙ্গে কীভাবে দেহটি উদ্ধার করা সম্ভব তা নিয়েও আলোচনা করেন। বনকর্মীরা জানান, প্রায় ৩০-৩৫টি হাতির একটি দল এলাকা ঘিরে রেখেছে। ওরা এলাকা ছাড়ার পর শাবকটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।